দিল্লিতে দূষণ রোধে বন্ধ হল বিদ্যুৎকেন্দ্র


মহালয়ার পর থেকেই তাপমাত্রা নামছিল একটু-একটু করে। গুটিগুটি পায়ে শীত যে রাজধানীতে হাজির তা মালুম পাওয়া যাচ্ছিল গত ক'দিন ধরেই। দিল্লির দরজায় শীতের উপস্থিতি এ বার কিছুটা আগে হলেও, ফি বছরের মতো দোসর হিসেবে হাজির হয়েছে বায়ু দূষণও। ষষ্ঠীর দিন সকালেই বায়ুর গুণগত মান 'খারাপ' পর্যায়ে চলে যাওয়ায় জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

শীত পড়লেই বায়ু প্রবাহ কমে আসে। তাতেই বাতাসে দূষণের পরিমাণ বেড়ে যায় রাজধানীতে। গত বারও পরিস্থিতি কার্যত অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। দূষণের চাদরে কার্যত ঢেকে গিয়েছিল গোটা দিল্লি। তার পরেই ঠিক হয়, দিল্লির বাতাসের গুণগত মান খারাপের দিকে যেতে শুরু করলেই আপৎকালীন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ সকালে বাতাসের দূষণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তাই সবার আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বদরপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। বন্ধ রাখা হয়েছে জেনারেটরের ব্যবহার। তবে জাতীয় রাজধানী এলাকায় (নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ) বিদ্যুতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সেখানে আপাতত জেনারেটর চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজধানী এলাকায় আর্বজনা পোড়ানোও। কাজ বন্ধ দিল্লির ইট ভাটাগুলিতেও। তবে দিল্লির দূষণের অন্যতম কারণ হল, রাজধানীর আশপাশের রাজ্যগুলিতে ফসলের খেতে আগাছা পোড়ানো। সে কারণে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্য প্রশাসনকে আগাছা পোড়ানোর প্রশ্নে এখন থেকেই কড়া নজর রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দিল্লিতে গাড়ি চলাচল যাতে কমে, তার জন্য পার্কিং ফি তিন থেকে চার গুণ করার প্রস্তাব কার্যকর করতে বলেছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। আগামী দিনে পরিস্থিতি এর চেয়ে খারাপ হলেই দিল্লিতে ট্রাকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পর্ষদ জানিয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার সমস্ত নির্মাণ কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।