ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ


দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তার প্রতিবেশী এক যুবককে। ওই কিশোরীর বাবাকেও ওই যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই যুবকের অবশ্য দাবি, সে কিছুই করেনি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের একটি স্কুলের ওই ছাত্রীর মায়ের অবশ্য দাবি, মঙ্গলবার সন্ধেয় ওই যুবক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তাঁর মেয়েকে। সেই সন্ধেয় বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, ''মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই যুবক বাড়িতে ঢোকে। মেয়েকে খুনের হুমকি দিয়ে টেনে নিয়ে যায় পাশের একটি ধান খেতে। সেখানে ধর্ষণ করে। এর পর মেয়ের হাত ও পা বেঁধে খেতে ফেলে রেখে পালায়।'' রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও ওই কিশোরীর বাবা মেয়েকে পাননি। বুধবার ভোরে বাড়ির পাশের ধান খেত থেকে ওই কিশোরীকে হাত, পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রায় অচেতন অবস্থায় বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একটু সুস্থ হয়ে কিশোরী পরিবারের লোকেদের কাছে সমস্ত ঘটনা জানায়। তার বাবা তখন অভিযুক্তের বাড়িতে গেলে ওই যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

ওই কিশোরী ও তার বাবাকে বুধবার সকালে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে জামিন অযোগ্য পকসো আইন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে ৩০৭ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ওই যুবকের সঙ্গে ওই ছাত্রীর কোনও সম্পর্ক ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত এক বছরে বেশ কয়েক বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এই এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, সব ক্ষেত্রেই তদন্ত হচ্ছে, অভিযুক্তদের ধরাও হচ্ছে। রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ''এমন ঘটনা রুখতে পুলিশকে যেমন আরও সক্রিয় হতে হবে, তেমনই সামাজিক সচেতনতাও প্রয়োজন।''