চিনকে রুখতে ভুটানকে বিপুল সাহায্য ভারতের


ভুটানে জিতে আসা ডিএনটি (দ্রুক নিয়ামরূপ সোগপা) সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার মুখে দু'টি বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে গোটা বিশ্বে। 

প্রথমত, তারা কোনও একপেশে বিদেশনীতির উপরে নির্ভর করে এগোতে চাইছে না। দ্বিতীয়ত, বিদেশনীতির প্রশ্নে কোনও সঙ্কট তৈরি হলে রাজার পরামর্শমতোই এগোবেন ডিএনটি নেতা সারগেও লোতে।

ডোকলাম-কাণ্ডের পর থেকে যে ভাবে থিম্পুর সঙ্গে বেজিং ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে চলেছে, তাতে নতুন সরকারের এই 'বিদেশনীতি দর্শন' প্রকৃতপক্ষে ভারত বিরোধী কি না, তা বিবেচনা করে দেখছেন সাউথ ব্লকের কর্তারা। কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ভুটানে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, শেষ পর্যন্ত রাজতন্ত্রের নির্দেশেই তারা চালিত হয়। কখনও ভারত, কখনও চিন অথবা কখনও শুধুমাত্র ভারত— বাণিজ্য, পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে যখন যাকে প্রয়োজন হয়, তাকে কাজে লাগাতে চায় রাজতন্ত্র। 

তবে প্রতিবেশী-প্রশ্নে কোণঠাসা ভারত কিন্তু কোনও সময় নষ্ট না করে (নষ্ট করার মতো সময় মোদী সরকারের হাতে নেই-ও) ডিএনটি সরকারের কাছে পৌঁছতে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। ডিএনটি ভোটে জেতার পরেই সে দলের নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভুটানের আগামী পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা খাতে সে দেশকে আরও বড় মাপের অনুদান দেওয়া হবে। ভুটানের একাদশতম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় (২০১৩-১৮) দেওয়া হয়েছিল সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। স্থির হয়েছে, ভুটানের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য বাড়তি ৫০০ কোটি টাকার অনুদান দেওয়া হবে থিম্পুকে।

নয়াদিল্লি এটা হিসেবের মধ্যে রাখছে যে ভুটানে ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগেই চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী কং জুয়াং ইউ সফর সেরেছেন ভুটানে। রাজা জিগমে ওয়াংচুকের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন তিনি। সরকার নির্বিশেষে ভুটানকে ঢেলে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেজিং। ৫৩টি দেশের সঙ্গে ভুটানের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও এখনও চিনের 

সঙ্গে সরকারি ভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই থিম্পুর। চিনা মন্ত্রীর সফরে আলোচনা হয়েছে ভুটানে চিনা দূতাবাস খোলা নিয়েও।