আজ থেকে বন্ধ সবরীমালার দরজা


লাগাতার অশান্তির জের৷ সোমবার থেকেই সবরীমালা মন্দির বন্ধের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের৷ এই সিদ্ধান্তের জেরে আবারও মন্দির সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা পুলিশের৷ স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সাংবাদিকদের নিরাপদ দূরত্বে থাকার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ প্রয়োজনে এলাকা ছাড়তে হতে পারে বলেও জানিয়েছে পুলিশ৷

১০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত বয়সি মহিলারা সবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে পারতেন না৷ একশো বছর ধরে এটাই ছিল মন্দিরের রীতি৷ মন্দিরে মহিলা প্রবেশের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ ১৮ অক্টোবর থেকে সবরীমালা মন্দিরে মহিলা প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ তারপর থেকেই কেরলজুড়ে অশান্তির আবহ৷ সুপ্রিম রায় মানতে নারাজ ভক্তেরা৷ কোনও ঋতুমতী মহিলাকেই মন্দিরে প্রবেশ করতে দিতে চান না তাঁরা৷ মন্দিরের সামনে ক্যাম্প করে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা৷ মন্দিরে প্রবেশ করতে গিয়ে বারবারই বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে পড়েন মহিলারা৷ এমনকী বয়সের প্রমাণপত্র না থাকার কারণেও মন্দিরে ঢুকতে পারেননি অনেকেই৷ যদিও এই অশান্তির জন্য আরএসএসকেই দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন৷ কিন্তু বিজেপির তরফে এই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে৷ সবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশাধিকারের সুপ্রিম রায় নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানায় গেরুয়া শিবির৷

মন্দির কর্তৃপক্ষ কেরল সরকারকে চিঠি দিয়ে আগেই জানিয়েছিল, রীতি ভাঙতে চায় না তারা৷ প্রয়োজন হলে মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ৷ সেই মতো সোমবার রাত দশটার পর থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা৷ মহিলা প্রবেশের অশান্তির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলেই জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ৷ এই সিদ্ধান্তের জেরে আবারও নতুন করে অশান্তি তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা কেরল প্রশাসনের৷ পাম্বায় থাকা মহিলা সাংবাদিককে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ সব মিলিয়ে আপাতত সবরীমালা ইস্যুতে থমথমে গোটা কেরল৷