‘বিদ্যুৎ লাইন শক্তিশালীতে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প’


ঢাকা:  চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপন দ্রুতগতিতে বাড়ছে। আর তাই ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখে ওই এলাকার বিদ্যুতের লাইন শক্তিশালী করতে প্রায় ২ হাজার ৫৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় এটিসহ ১৪ হাজার কোটি টাকার ১৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

এই সপ্তাহে দুবার একনেক বৈঠক ডাকার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "দেশের বর্তমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সরকারি বিনিয়োগের প্রভাব চলমান রাখতে প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখতে হবে। তাছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রতি সপ্তাহে একটি করে বৈঠক করলে আমরা ১৪টি বৈঠক করতে পারতাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত ১০টি বৈঠক হয়েছে। মূলত প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সফরের কারণে কয়েকটি সভা হতে পারেনি। এসব পুষিয়ে নিতেই এ সপ্তাহে দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।"

সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে গত মঙ্গলবারের একনেক বৈঠকে ৩২ হাজার কোটি টাকার ২০টির মতো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবারের একনেক বৈঠকের পর পরিকল্পনামন্ত্রী চট্টগ্রাম এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, "চট্টগ্রামে প্রতিবছর ১০ শতাংশের বেশি হারে বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে চট্টগ্রামের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৮০৭ মেগাওয়াট। সে অনুযায়ী ওই এলাকায় বর্তমানে ৩৩/১১ কেভি'র সঞ্চালন লাইন নিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয়। কিন্তু সঞ্চালন লাইনের এই সক্ষমতা দিয়ে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৩ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুত বিতরণ করা যাবে। অথচ আগামী ২০৩০ সালে ওই এলাকার বিদ্যুতের চাহিদা সৃষ্টি হবে ২ হাজার ৮৩১ মেগাওয়াটের। তাই বিদ্যমান লাইন দিয়ে আগামীর চাহিদা সঞ্চালনা সম্ভব নয়।"

এই পরিস্থিতিতে আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত চাহিদা পূরণে প্রস্তুতি হিসেবে চট্টগ্রামের সঞ্চালন লাইনের আধুনিকায়নের সিদ্ধান্ত নিয়ে এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।