ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো ধর্ষণ হয়না, যা হয় দুপক্ষের সম্মতিতে হয়


#MeToo ঝড়ে তোলপাড় বলিউড। অমিতাভ বচ্চনও সেই ঝড়ের আওতার বাইরে নন। এমতাবস্থায় রীতিমতো শেল ফাটালেন মুম্বইয়ের টেলিতারকা শিল্পা শিন্ডে। সাফ জানিয়ে দিলেন, #MeToo নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে না। দু'পক্ষের সম্মতিতে সব কিছু হয়।

#MeToo প্রসঙ্গে মুখ না খুলেই শিল্পা শিন্ডে বলেন, 'এই সুযোগে অনেকেই ইন্ডাস্ট্রির বদনাম করছেন। ইন্ডাস্ট্রির পরিবেশ খুব ভাল যে তা নয়। তেমনই খুব খারাপও নয়। যার কাজ করতে আসছেন, বা যাঁরা কাজ দিচ্ছেন সব্বাইকে তো আর খারাপ বলা সম্ভব নয়। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে এলে পরিস্থিতি খারপ হবে কি হবে না সবটাই নিজের উপরে নির্ভর করে। এজন্য অন্যকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।'

বলা বাহুল্য, বলিউডের #MeToo ঝড়কে পাত্তাই দিতে চান না অভিনেত্রী শিল্পা শিন্ডে। তাঁর মতে, যখন যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন তখনই যদি মুখ খুলতেন তাহলে ঠিক ছিল। এতদিন পর তা নিয়ে কথা বলা বেকার। অনেকটা কবর দেওয়ার পর মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ তোলার মতো ঘটনা। আচমকাই যৌন হেনস্তা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির মেয়েরা সরব হচ্ছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় ইন্ডাস্ট্রিরই বদনাম হচ্ছে। নিজের জন্য কেন ইন্ডাস্ট্রির নাম খারাপ করা হবে? যখন অন্যায় হয়েছিল তখন কেন চুপ করেছিলেন?  শুধু ইন্ডাস্ট্রিতেই এমন ঘটনা ঘটে না, যে কোনও কর্মক্ষেত্রেই ঘটে। পুরোটাই নির্ভর করে যার সঙ্গে ঘটছে তাঁর উপরে।

উল্লেখ্য, #MeToo ঝড়ে মন্ত্রী এমজে আকবরের পাশে দাঁড়িয়েছেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী লতা কেতকর। এমজে আকবর বিভিন্ন সংবাদ সংস্থায় কাজ করার সময় মহিলা সহকর্মীদের শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এমনই এক অভিযোগ প্রকাশ্যে এলে বহু মহিলা সাংবাদিকই #MeToo-কে সমর্থন জানান। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী নিজে এখনও মন্তব্য না করলেও মুখ খুলেছেন লতা কেতকর। ওই বিজেপি নেত্রীর বক্তব্য, যে সব মহিলা সাংবাদিক এমজে আকবরের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন তাঁরা কেউই নির্দোষ নন। এককথায় মহিলা সাংবাদিকদের ধোয়া তুলসীপাতা বলতে রাজি নন ওই বিজেপি নেত্রী। যদিও #MeToo-কে সমর্থন করেছেন তিনি। তাঁর মতে এই #MeToo ঝড় মহিলাদের শক্তি জোগাবে। কর্মক্ষেত্রে কোনও ধরনের হেনস্তার শিকার হলে মহিলারা সঙ্গে সঙ্গেই রুখে দাঁড়ানোর এক হাতিয়ার পেয়ে গেলেন। এমনটাই দাবি ওই বিজেপি নেত্রীর।