ব্রহ্মোসের গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে ধৃত নিশান্ত অগ্রবালের খোঁজ কীভাবে পেলেন গোয়েন্দারা?


নাগপুর ও লখনউ: মধুচক্রের ফাঁদে পা দিয়ে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-কে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কিত গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে সোমবার ধৃত ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেসের বিজ্ঞানী নিশান্ত অগ্রবালের ওপর দীর্ঘদিন ধরেই নজর রেখেছিল দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

খবরে প্রকাশ, গতমাসে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সেনাবাহিনীর এক জওয়ানকে। ওই জওয়ানের বিরুদ্ধেও মধুচক্রের ফাঁদে পা দিয়ে আইএসআই-কে গোপন তথ্য পাচার করার অভিযোগ ওঠে। এরপরই, পাকিস্তান থেকে অপারেট করা বিভিন্ন মহিলাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ওপর নজর রাখছিল উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)।
বিশেষ করে সেই সব অ্যাকাউন্টের ওপর নজর রাখা হচ্ছিল, যেখান থেকে এদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল জায়গায় কাজ করা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ওই মহিলাদের। সেখান থেকেই নিশান্তের খোঁজ পান গোয়েন্দারা। তাঁর ওপর নজরদারি চালাতে শুরু করেন গোয়েন্দারা। সেখানেই দুটি এমন ফেসবুক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মেলে, যেগুলির সঙ্গে নিশান্ত প্রতিনিয়ত চ্যাট করতেন। সেই সংক্রান্ত প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। এখন গোয়েন্দারা সেই অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখে জানার চেশ্চা করছেন, সেখানে নিশান্ত ঠিক কী কী গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্য পাচার করেছেন।
উত্তরপ্রদেশের এটিএস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নিশান্তের নাগপুরের বাড়ি থেকে একটি পুরনো কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কিছু গোপন নথি ছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। এক আধিকারিক জানান, বাড়ির কম্পিউটারে ওই তথ্য কখনই থাকার কথা নয়।
প্রসঙ্গত, সোমবারই নাগপুরের ওয়ার্ধা রোডে অবস্থিত ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা বা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-র দফতর থেকে নিশান্তকে দেশদ্রোহিতা ও আইএসআই চর হওয়ার অভিযোগে যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করে মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ও উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র পুলিশের এটিএস। তাঁর বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেক্ট অ্যাক্টের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সুপারসোনিক ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রোডাকশন (উৎপাদন) বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন নিশান্ত। ক্ষেপণাস্ত্রের হায়ড্রলিক্স-নিউম্যাটিক্স ও ওয়ারহেড ইন্টিগ্রেশন তাঁর নেতৃত্বেই হতো। তাঁর অধীনে ৪০ জন কাজ করতেন।