কিশোরীকে গালির প্রতিবাদ, নিহত দুই


পাড়ার নলকূপ থেকে সকলে খাওয়ার জল নেন। সেখানে স্নান করা বারণ। পুরাতন মালদহের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই কুতুবপুর গ্রামে পুজোর সময় বেড়াতে এসেছে এক কিশোরী। সে জানত না এই প্রথার কথা। শনিবার দুপুরে স্নান করতে যায় ওই নলকূপে। তা দেখতে পেয়ে রাধা মণ্ডল নামে এক গ্রামবাসী বাধা দেন। তিনি অশ্লীল গালিও দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদ করতে গিয়ে বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। তাতেই মারা গেলেন সুবল মণ্ডল (৬২) ও তাঁর জামাই রাজকুমার মণ্ডল (৪২)।

পুলিশ রাধা ও তাঁর ছেলে মিঠুনকে গ্রেফতার করেছে। রাধার আর এক ছেলে সিন্টু পলাতক। রাধার মুদির দোকান রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির রঞ্জিত মল্লিক বলেন, ''রাধাবাবুর দুই ছেলেই মূক ও বধির।'' গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মিঠুন ও সিন্টু দু'জনেই খুব বদমেজাজি। সামান্য কারণেই লোকজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে আগেও। ফলে তিন জনেরই শাস্তির দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরাও।

রাজকুমারবাবু ও সুবলবাবু দু'জনেই দিনমজুরি করেন। রাজকুমারবাবুর বাড়িতেই বেড়াতে এসেছে ওই কিশোরী। রাধাবাবু গালাগালি করছে শুনে প্রতিবাদ করেছিলেন রাজকুমার। তখন রাধাবাবু ও তাঁর দুই ছেলে রাজকুমারবাবুকে মারতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। সুবলবাবু তখন জামাইকে বাঁচাতে বেরিয়ে আসেন। তাঁকেও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এক জন প্রতিবেশীও আক্রান্ত হন।

রাজকুমারবাবু ও সুবলবাবুকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজকুমারবাবু মারা যান সেই রাতেই। সুবলবাবুকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছিল। গভীর রাতে রাস্তায় মারা যান তিনিও।