তামিলনাড়ুতে ১৮ বিদ্রোহী বিধায়ককে বহিষ্কার করা হল


চেন্নাই : তামিলনাড়ুর স্পিকারের ১৮ বিধায়ককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখল মাদ্রাজ় হাইকোর্ট। এই সিদ্ধান্তে বড়সড় স্বস্তি পেল ই পালানিস্বামী সরকার। ওই ১৮ বিধায়ক ভি কে শশীকলা ও তাঁর ভাইপো টিটিভি দীনাকরণের সমর্থক ছিলেন। তাঁরা আর বিধানসভার সদস্য থাকলেন না। সেইসঙ্গে ওই সব আসনে উপনির্বাচনও হবে।

এই নির্দেশে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়লেন দীনাকরণ। তাঁর লক্ষ্য ছিল, মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী ও উপ মুখ্যমন্ত্রী পনীরসিলভমকে সরিয়ে সরকার ও দলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করা। তবে, মাদ্রাজ় কোর্টের নির্দেশ শুনে ভেঙে পড়তে রাজি নন দীনাকরণ। তিনি বলেন, "উপনির্বাচন হলে আমরাই জিতব। হাইকোর্টের নির্দেশে আমার প্রভাব কমবে না। আমরা একটা ইতিবাচক রায় আশা করেছিলাম।"

গতবছর বিদ্রোহী বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীকে সরানোর দাবি জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন। এরপরই অ্যান্টি ডিফেকশন ল অনুযায়ী তাঁদের বিধানসভা থেকে বরখাস্ত করেন স্পিকার। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মাদ্রাজ় হাইকোর্টে যান বহিষ্কৃত বিধায়করা। 

১৪ জুন মাদ্রাজ় হাইকোর্ট রায় শোনাতে পারেনি। দুই বিচারপতি ভিন্নমত পোষণ করেন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট তৃতীয় বিচারপতি নিয়োগ করে। বিচারপতি সত্যনারায়ণই আজকের নির্দেশ দিয়েছেন। 

হাইকোর্টের নির্দেশ দীনাকরণের পক্ষে গেলে চাপ বাড়ত পালানিস্বামী সরকারের। তামিলনাড়ু বিধানসভা ২৩৪ আসন বিশিষ্ট। এরমধ্যে ১৮ বিধায়ক বহিষ্কৃত ছিলেন। ২ বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে। মোট ২০ বিধায়ক হিসেবের বাইরে ছিলেন। অর্থাৎ, বিধায়ক সংখ্যা মোট রয়েছে ২১৪। সরকারিপক্ষের হাতে রয়েছে ১১৬ সদস্য। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১০৭ সদস্য। পালানিস্বামীর হাতে অতিরিক্ত ৯ বিধায়ক রয়েছেন। ১৮ জন বিধায়ক ফিরে এলে তাঁরা বিরোধীপক্ষের সঙ্গেই যেতেন। সেক্ষেত্রে দু'পক্ষের হাতে থাকত ১১৬ আসন। শোনা যাচ্ছিল, সেক্ষেত্রে পালানিস্বামীর তিন বিধায়ক দিনাকরণকেই সমর্থন করতেন। যদি তা না হত সেক্ষেত্রে ২ আসনের (মৃত ২ বিধায়ক) ফলাফলই ঠিক করত সরকার কে গড়বে।