পরকীয়ার জের! করবা চৌথের ব্রতর পরই আট তলা থেকে ধাক্কা দিয়ে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী


পেশায় পুরোদস্তুর কর্পোরেট। বেসরকারি ব্যাঙ্কের পদস্থ অফিসার। তবু স্বামীর মঙ্গল কামনায় করবা চৌথের ব্রত রেখেছিলেন বছর বত্রিশের দীপিকা চৌহান। আর সেই স্বামীই তাঁকে করবা চৌথের রাতে আট তলার ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে ঠেলে ফেলে দিয়ে তাঁকে খুন করল দীপিকাকে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই খুন বলে অনুমান পুলিশের।

শনিবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে গুরুগ্রামের আনসাল ভ্যালি ভিউ সোসাইটি আবাসনে। দীপিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী বিক্রম চৌহানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার উঁচু পদে কাজ করেন।  

পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে দীপিকার বাবা হরিকিষাণ আহুজা জানিয়েছেন, কিছুদিন প্রেম করার পর ২০১৩ সালে দীপিকা এবং বিক্রমের বিয়ে হয়। তাঁদের চার বছরের কন্যাসন্তান এবং ছ'মাসের পুত্রসন্তান রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, করবা চৌথের দিন আট তলা থেকে ঠেলে ফেলে দিয়ে তাঁর মেয়েকে খুন করেছে বিক্রম।

পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই আবাসনেরই এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্প্রতি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বিক্রম। দীপিকার বাবার অভিযোগ, বিক্রম-দীপিকার ফ্ল্যাটে ওই মহিলার যাতায়াত ছিল। দীপিকার অনুপস্থিতিতে মাঝেমধ্যেই তিনি ফ্ল্যাটে আসতেন। তার জেরে হামেশাই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হত। দীপিকা ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় মারধরও করা হত তাঁকে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরকীয়া সম্পর্কের এই টানাপড়েনের জেরেই স্ত্রীকে খুন করতে পারেন বিক্রম। পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জেরা করে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

অবাঙালি হিন্দু বিবাহিত মহিলারা কার্তিক মাসে করবা চৌথের ব্রত রাখেন। সূর্যোদয় থেকে চন্দ্রোদয় পর্যন্ত নির্জলা উপোস থাকার পর চাঁদ দেখেন। তারপর স্বামীর মুখ দেখার পর খাওয়া দাওয়ার পর্ব চলে।