ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র আঘাতে টেকনাফে আটকে ১০০ বেশি পর্যটক


ঢাকাঃ  ঘূর্ণিঝড় 'তিতলি'র কারণে তিন দিন ধরে নৌ-রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রায় শতাধিক লোক টেকনাফে আটকে পড়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় শুক্রবার ১২ অক্টোবর বিকেল পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে সতর্ক সংকেত বলবৎ থাকায় এসব লোকজন আটকে আছে। তারা টেকনাফের হোটেল এবং আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এসব লোকজন গত বুধবার ট্রলার নিয়ে টেকনাফে এসেছিল।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় তিতলির কারণে তিন দিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে কোনও ধরনের নৌ-যান চলাচল করেনি। ফলে তিন দিন আগে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে আসা দ্বীপের প্রায় শতাধিক লোকজন টেকনাফে আটকে পড়েছে। এর মধ্যে অনেকে হোটেল ও আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের খোজঁখবর নিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়া দ্বীপে বেড়াতে এসে পাচঁজন মতো পর্যটক আটকা রয়েছে, তারা নিরাপদে আছেন।'

খোজঁ নিয়ে জানা গিয়েছে, সেন্টমার্টি যেতে না পেরে টেকনাফের হোটেল দ্বীপ প্লাজা, নিউ গার্ডেন গেস্ট হাউজ, নাফ কুইন, হিলটপ ও নাফ ইন্টারন্যাশনাল আবাসিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের শতাধিক লোকজন অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে পরিবার নিয়ে আটকা পরেন মোহাম্মদ কালাম নামে এক ব্যক্তি। তার বাড়ি সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পাড়ায়। তিনি বলেন, 'তিন দিন আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবার নিয়ে কক্সবাজার গিয়েছিলাম। সেখানে চিকিৎসা শেষে পরের দিন টেকনাফে যাই। তখন থেকে দ্বীপে যেতে না পেরে এখানে আটকা রয়েছি। তাছাড়া যেসব টাকা ছিল চিকিৎসাতে শেষ হয়ে গেছে। এখন থাকতে কষ্ট হচ্ছে।'

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী আধিকারিক মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, 'সাগর উত্তালের কারণে এসব লোকজন টেকনাফে আটকে পড়েছেন। তাদের যাতে অসুবিধা না হয় এজন্য খোজঁখবর নেওয়া হচ্ছে।'