অমৃতসর দুর্ঘটনা: রেলের অনুমতি নেননি উদ্যোক্তা কংগ্রেস নেতা, অনুমোদন ছিল না পুরসভার


দশেরায় রাবণ দহন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় গলদ নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। প্রশাসন ও আয়োজনদের কাঠগড়ায় তুলেছেন অনেকে। রাবণ দহন অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা কংগ্রেস নেতা সৌরভ মদনের দাবি, পুলিসের অনুমতি নিয়েই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল। এব্যাপারে প্রশাসনকে অবগতও করেছিলেন তিনি। তবে রেলকে কিছুই জানাননি। ইতিমধ্যে আবার পুরসভা দাবি করেছে, তারা কোনও ধরনের অনুমতি দেয়নি।  

সৌরভ মদনের কথায়,''অনুষ্ঠানের আগে ডিসিপি অমরিক সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলাম''। তবে রেলের কাছে অনুষ্ঠান সম্পর্কিত কোনও তথ্য দেননি তিনি। মদনের ব্যাখ্যা, ''রেলের সঙ্গে আমাদের অনুষ্ঠানের কোনও সম্পর্কই নেই। এটা নিছকই দুর্ঘটনা''।

রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনি লোহানি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানের বিষয়কে রেলকে জানানো হয়নি। তাঁর যুক্তি,''অমৃতসর ও মানাবালা স্টেশনের মাঝে দু্র্ঘটনাটি ঘটেছে। জায়গাটি লেভেল ক্রসিং ছিল না। মানুষ যে রেললাইনে দাঁড়িয়ে থাকবেন, তা প্রত্যাশিত ছিল না। ফলে ট্রেনের গতি হেরফের করা হয়নি। লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কর্মী ছিলেন। কিন্তু স্টেশনের মাঝে কোনও কর্মী থাকেন না''।

এত লোক দেখেও কেন থামলেন না চালক? রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানের দাবি, ওই সময় আপত্কালীন ব্রেক কষলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। লোহানি আরও জানান, রেললাইনের পাশে ব্যক্তিগত জমিতে অনুষ্ঠানটি হচ্ছিল। জমায়েতের ব্যাপারে অনুমতি চাওয়া বা জানানো হয়নি। 

এখানেই উঠছে প্রশ্ন, পুলিসকে খবর দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতিপত্রও দেখিয়েছেন উদ্যোক্তারা। তাহলে কেন নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করল না প্রশাসন? কেন রেললাইনে মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেওয়া হল? কেনই বা রেলকে ধীর গতিতে ট্রেন চালানোর অনুরোধ করল না পুলিস? উঠছে একাধিক প্রশ্ন। যা সামলাতে হবে পঞ্জাবের প্রশাসনকে। 

অমৃতসরের ধোবি ঘাট এলাকায় শুক্রবার রাবণ বধ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বহু মানুষ। সে সময় ওই লাইন দিয়ে ছুটে আসচ্ছিল ডিএমইউ জলান্ধর ও অমৃতসর এক্সপ্রেস। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বহু মানুষকে পিষে দিয়ে চলে যায় ট্রেনটি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১।