সমলিঙ্গে সফল প্রজনন, চিকিত্সা বিজ্ঞানে বড় সাফল্য


পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌনক্রিয়ায় প্রজনন সম্ভব? অথবা দুই মহিলার যৌন মিলন কী সন্তানের জন্ম দিতে পারে? এতদিন পর্যন্ত এণন প্রশ্ন কেউ করলে উত্তর অবশ্যম্ভাবী না-ই হত। কিন্তু এবার বোধ হয় একটু নড়ে-চড়ে বসার সময়। সমলিঙ্গে প্রজনন সম্ভব। সেটাই প্রমাণ করে দিলেন একদল বিজ্ঞানী। চিকিত্সা বিজ্ঞানে বড় সাফল্য। 

সেল স্টিম জার্নাল-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, এক দল বিজ্ঞানী দুটি সমলিঙ্গের ইঁদুরের প্রজনন ঘটিয়েছেন। দুটি পুরুষ ইঁদুরের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে সঙ্গম করানো হয়। ২৯টি বাচ্চার জন্ম দিতে সফল হন তাঁরা। যদিও জন্মানোর পর বাচ্চারা মাত্র ৪৮ ঘণ্টা জীবিত ছিল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে দুটি সমলিঙ্গের প্রাণীয় মধ্যে প্রজনন ঘটাতে তাঁরা সফল। এর আগে বহুবার সমলিঙ্গ যুগলের প্রজনন ঘটানোর চেষ্টা করেও সফল হননি বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা এটাও জানিয়েছেন, স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া বেজায় জটিল। এক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কম। কিন্তু তাঁরা হাল ছাড়ছেন না। ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীদের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। এমন পর্যায় সদ্যোজাতকে বাঁচিয়ে রাখাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

মানুষের ক্ষেত্রে কি সমলিঙ্গে প্রজনন সম্ভব? সেই ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা এখনই কোনও পোক্ত ধারণা দিতে নারাজ। তাঁদের সাফ বক্তব্য, নতুন প্রাণের সঞ্চার করতে হলে পুরুষ ও মহিলা, দুজনেরই সমান ভূমিকা প্রয়োজন। কিন্তু তাঁরা এমন একটি প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন যেখানে এক পক্ষের জিন দিয়েই প্রজননের চেষ্টা করা যেতে পারে। গবেষকরা বলছেন, সাধারণত শুক্রানুর সঙ্গে শুক্রানুর মিলনে প্রজনন ঘটানোর প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে। এক্ষেত্রে ডিম্বানু সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে। এর আগে দুটি স্ত্রী ইঁদুরের মধ্যে সঙ্গম ঘটিয়ে প্রজননের চেষ্টা করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেবার জন্মানো বাচ্চারা দীর্ঘদিন বেঁচে ছিল।