বাংলাদেশে পুজো ৩১ হাজার, মাতল রোহিঙ্গারাও


শারদোৎসবে মজে উঠেছে বাংলাদেশ। ষষ্ঠীর দিন শুরু হয়ে গেছে উৎসব। প্রতি বারের মতো এবারও পুরনো ঢাকার গলিতে গলিতে পরম যত্নে পুজোমণ্ডপ সাজানো হয়েছে। বিশেষ করে শঁাখারিবাজার, লক্ষ্মীবাজার, শ্যামবাজার, তঁাতিবাজার, কলতাবাজার, ওয়ারি, মুরগিটোলা, ডালপট্টির মতো ছোট–বড় মহল্লায় পুজোমণ্ডপ তৈরি হয়েছে। পুজো উপলক্ষে কেনাকাটাও হয়েছে এবার অনেক বেশি। পুজোয় মেতে উঠেছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পও।

দুর্গাপুজো চলাকালীন আতশবাজি, পটকা ফাটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে পুলিস। পুলিস কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াঁ ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করে বলেছেন, শারদীয় দুর্গাপুজো নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ করতে এই ব্যবস্থা।

৪১ বছর ধরে ঢাকেশ্বরী এলাকায় প্রতিমা তৈরি করছেন রবীন্দ্রনাথ। প্রতি বারের মতো এবারও তিনজন কর্মচারী নিয়ে প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি। ঢাকেশ্বরীর বাইরের প্রত্যেকটি মন্দিরে সিসি টিভি ক্যামেরা থাকছে। অস্থায়ী পুলিস কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে।

বাংলাদেশ পুজো উদ্‌যাপন পরিষদ জানিয়েছে, এবার বাংলাদশে ৩১,২৭২টি দুর্গাপুজো হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় ১,১৯৫টি পুজো বেড়েছে। ঢাকায় ৬,৮০৪টি, চট্টগ্রামে ৪,৫০৬টি, সিলেটে ২,৩৪১টি, খুলনায় ৪,৮৮৩টি, রাজশাহিতে ৩,৫৪২টি, রংপুরে ৫,৩৭১টি, বরিশালে ১,৭২৪টি ও ময়মনসিংহে ২,১০১টি পুজো হচ্ছে। ঢাকায় এবার পুজো হচ্ছে ২৩৪টি। কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও হচ্ছে দুর্গাপুজো। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের হিন্দু নাগরিকদের জন্য সরকারি ভাবে এই দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পুজো উদ্‌যাপন পরিষদ সেখানে নতুন বস্ত্র বিতরণও করবে।

বাংলাদেশ পুজো উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মলকুমার চ্যাটার্জি বলেন, আমরা মনে করি, ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ যদি অসুরের বিরুদ্ধে এক হয়ে দাঁড়ান, অসুরশক্তি নির্মূল কঠিন কিছু নয়। দুর্গাপুজো এই বার্তাই বহন করে।