রান্নার গ্যাস এবং যৌন হেনস্থা, জোড়া ‘কেলেঙ্কারি’ নিয়ে দলীয় তদন্তে বিজেপি

গ্যাস কেলেঙ্কারি এবং যৌন হেনস্থার দু'টি পৃথক মামলা নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন চলছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বিষয়টি নিয়ে 'অখুশি'। যার জেরে একটি দলীয় তদন্ত কমিটি তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলেও রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর। বিজেপি সাংসদ এবং বিশিষ্ট আইনজীবী ভূপেন্দ্র যাদবের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। তবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ''তদন্তের বিষয়ে আমি কিছু শুনিনি। তবে কেন্দ্রের নির্দেশে এই দু'টি মামলার আইনি বিষয় নিয়ে উনি কাজ করছেন।'' বস্তুত, সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক শিবপ্রকাশ, রাজ্য দলের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং আরএসএস নেতা বিদ্যুৎ মুখোপাধ্যায় আগাম জামিন নিয়েছেন।  

সূত্রের খবর, সপ্তাহ দু'য়েক আগে শহরে এসেছিলেন ভূপেন্দ্র। পোর্ট গেস্ট হাউসে রাজ্য বিজেপির 'লিগাল সেল'এর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ বৈঠক হয়। তার পরেই কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত হয়, আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি অভিযোগগুলির সত্যাসত্য যাচাই করার জন্য দল একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তও করবে। এ বিষয়ে ভূপেন্দ্র আবার শহরে আসতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

শুধু ভূপেন্দ্র নন, আরএসএস-এর কেন্দ্রীয় নেতা কৃষ্ণগোপালও ইতিমধ্যেই দু'বার শহরে এসেছিলেন বলে সঙ্ঘের একাংশের দাবি। সঙ্ঘ সূত্রে আরও খবর, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল বিক্রমজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও আরএসএস নেতাদের সঙ্গে মামলা দু'টি নিয়ে বৈঠক করেছেন। খবর, সেখানেই স্থির হয়েছিল, আগাম জামিন না পাওয়া পর্যন্ত এই মামলায় যুক্ত কোনও কোনও নেতা প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মসূতিতে অংশ নেবেন না। যে কারণে দিল্লিতে ২৮ তারিখের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শিবপ্রকাশ এবং সুব্রতবাবু। এ দিন দিলীপবাবু বলেন, ''তিনজনেই আগাম জামিন পেয়ে গিয়েছেন। এখন আর কাজে যোগ দিতে তাঁদের কোনও অসুবিধা থাকল না।''

বিজেপি এবং সঙ্ঘের একাংশের ব্যাখ্যা, যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত মামলাটি নিয়েই সব চেয়ে বিড়ম্বনায় কেন্দ্রের নেতারা। সঙ্ঘের মতো 'নিয়মানুবর্তী' সংগঠনের নেতাদের গায়ে এ ধরনের মামলার দাগ লাগলে তা 'কৌলীন্য'হানি করে বলে অনেকেই মনে করছেন। সে কারণেই, দল চাইছে, বিষয়গুলি নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করতে।