জম্মু–কাশ্মীরে জঙ্গিরা ব্যবহার করছে স্নাইপার রাইফেল সহ–নাইট ভিশন গ্লাস, উদ্বিগ্ন প্রশাসন


জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে কাশ্মীরে ব্যবহার হচ্ছে স্নাইপার অ্যাটাক। অবৈধ অনুপ্রবেশ, অতর্কিতে হামলার পর এবার যোগ হয়েছে স্নাইপার অ্যাটাক। স্নাইপার রাইফেলের সাহায্য দূর থেকেই হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। শনিবারই নওগাঁওয়ে এক পাওয়ার গ্রিড পাহারা দেওয়ার সময় স্নাইপারের গুলিতে রাজেন্দ্র প্রসাদ নামে এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত ১ টা নাগাদ পাহারা দেওয়ার সময় তাঁর মুখে এসে লাগে গুলি। এই ঘটনা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পুলিস এবং সেনাবাহিনীর কপালে। পরিস্থিতি এমনই জটিল যে কাশ্মীরের আইজি পি পাণি কীভাবে এই হামলা রোখা যায় সে বিষয়ে কিছু গাইডলাইনও পাঠিয়েছেন পুলিস কর্তাদের কাছে। বিভিন্ন পুলিস স্টেশন ও ব্যারাকে ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বেশ কয়েকবার দক্ষিণ কাশ্মীরে স্নাইপার হামলা করেছে জঙ্গিরা। তার আগে ১৮ অক্টোবর পুলওয়ামায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে স্নাইপার হামলায় দুই জওয়ান আহত হয়েছেন। ২১ অক্টোবর ট্রালে স্নাইপার হামলায় এক সীমা সুরক্ষা বলের জওয়ান নিহত হয়েছেন। ২৫ অক্টোবর ট্রালেই ফের স্নাইপার হামলায় আরও এক সেনা জওয়ান নিহত হন। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এই নতুন ধরণের হামলার ব্যাপারে সেনা জওয়ান ও পুলিস কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যাতে সহজেই দূর থেকে টার্গেট না করা যায়। তার জন্য সেনা ও পুলিস ক্যাম্পের পাঁচিলের উচ্চতা বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে পাহারা দেওয়ার সময় যাতে জঙ্গিরা দূর থেকে টার্গেট করার জায়গা না পায় সেই ব্যাপারেও সুনিশ্চিত হতে হবে।

শুধুমাত্র পুলিসকর্মী এবং সেনা জওয়ানই নয়। স্নাইপারের সাহায্যে জঙ্গিরা কাশ্মীরের হেভিওয়েট রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিদেরও নিশানা করতে পারে বলে মত আইজি'র। সেইজন্য রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনিক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে কাশ্মীর জুড়ে প্রত্যেকদিন তল্লাশি অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেনা–পুলিস–সিআরপিএফকে। পুলিস সূত্রে খবর, গত একমাসে শুধু পুলওয়ামা জেলাতেই চারটে স্নাইপার হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিসের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল মুনির আহমেদ খান জানান, প্রত্যেকটি ঘটনারই তদন্ত চলছে। এই সব হামলায় কী ধরণের স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করা হয়েছে সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে জঙ্গিরা নাইট ভিশন গ্লাস ব্যবহার করছে বলে জানা গিয়েছে।