পাকিস্তানে অ্যাম্বুল্যান্সে গণধর্ষিততা মানসিক ভারসাম্যহীন শিখ কিশোরী


জরুরি পরিষেবার অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দুই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নানকানা সাহিবে। শিখ ধর্মাবলম্বী ১৫ বছরের ওই কিশোরী গত শনিবার পরিবারের সঙ্গে নানকানা সাহিবের গুরুদ্বারে গিয়েছিল।
কিশোরীর বাবার অভিযোগ, গুরুদ্বার থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে। নানকানা শহর থানায় মেয়ে নিখোঁজের অভিযোগ জানান তাঁরা। এরপর নিজেরাও মেয়েকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নানকানা বাইপাসের কাছে পার্ক করা প্রাদেশিক জরুরি পরিষেবা উদ্ধারকারী সংগঠন '‌পাঞ্জাব ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস রেসকিউ ১১২২'‌–এর  অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর একটি মেয়ের আর্তনাদ শুনে ছুটে গিয়ে তাঁরা দেখেন তাঁর মেয়েকেই কর্তব্যরত দুই সরকারি কর্মী ধর্ষণ করছে। কিশোরীর বাবার আরও অভিযোগ, তাঁদের দেখতে পেয়ে প্রথমে গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে পালায় অভিযুক্তরা। তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্সটি ধাওয়া করলে প্রায় দু'‌কিলোমিটার পর কিশোরীকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।

নানকানা থানার অফিসার নাদিম আহমেদ জানিয়েছেন, আহসান আলি এবং সামিন হায়দর নামে ওই দুই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। নির্যাতিতা কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার শারীরিক পরীক্ষা হয়। আপাতত সুস্থই আছে সে। তদন্ত শুরু হয়েছে। '‌পাঞ্জাব ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস রেসকিউ ১১২২'‌–এর মুখপাত্র মহম্মদ ফারুক বলেছেন, গত ১৪ বছরের পরিষেবায় এই প্রথম তাঁদের কর্মীদের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ উঠেছে। পুরো ঘটনায় তাঁরাও বিভাগীয় তদন্ত করছেন। দুই অভিযুক্ত কর্মীকেই সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়েছে। পুলিসকে তদন্তে তাঁরা যাবতীয় সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন মহম্মদ ফারুক।