তনুশ্রীর যৌন হেনস্থার অভিযোগ, নানা পাটেকর, আরও তিনজনকে নোটিস মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের!


মুম্বই: তনুশ্রী দত্তের যৌন হেনস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে নানা পাটেকর, প্রযোজক সামি সিদ্দিকি, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়া ও ডিরেক্টর রাকেশ সারংকে নোটিস মহারাষ্ট্র রাজ্য মহিলা কমিশনের। তনুশ্রী যাঁদের নাম করেছেন, তাঁদের নোটিস পাঠিয়ে দশদিনে বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে, জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন বিদ্যা রাহাতকর। পাশাপাশি কমিশন মুম্বই পুলিশের কাছেও লিখিত ভাবে বলেছে, তনুশ্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানাতে হবে। মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারের কাছে আপডেট চেয়েছে তারা।

২০০৮ সালে একটি ছবির সেটে নানা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে দাবি করে কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তনুশ্রী। নানা অবশ্য যৌন হেনস্থার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। এক ভিডিও বার্তায় তনুশ্রীর তোলা যৌন হেনস্থার অভিযোগ কমিশন ধর্তব্যের মধ্যে এনেছে বলে জানিয়েছেন রাহাতকর। বলেছেন, পাটেকর ও অন্য তিনজনের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। তনুশ্রী দত্তকেও কমিশনে হাজিরা দিয়ে এ ব্যাপারে আরও তথ্য শেয়ার করতে বলা হয়েছে। 
গত শনিবার ওশিওয়ারা থানায় তনুশ্রী অভিযোগ পেশ করেন।

কমিশন পাশাপাশি ছবির প্রোডিউসারদের, মিডিয়া সংস্থা, সিনে আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনদেরও পরামর্শ দিয়েছে বলিউডে মহিলা কলাকুশলীদের পেশ করা অভিযোগের মীমাংসায় তারা যেন একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে।

তনুশ্রীর অভিযোগ, ছবির সেটে নানা তাঁকে অশালীন ভাবে স্পর্শ করেছিলেন, যদিও তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, কোনও ধরনের অশালীন, যৌনগন্ধী বা অস্বস্তিকর অঙ্গভঙ্গির দৃশ্যে তিনি অভিনয় করবেন না। তনুশ্রী বলেছেন, তিনি গণেশ আচারিয়ার কাছে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও তাঁকে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে বাধ্য করা হয়, তখন নানা তাঁকে অশালীন ভাবে ছোঁন। তিনি ছবিটি ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর তাঁর গাড়ি গুন্ডাদের দিয়ে ভাঙচুর করা হয়। গুন্ডারা রাজ ঠাকরের এমএনএসের লোকজন বলেও অভিযোগ করেন তনুশ্রী।