ঘরে ঢুকেই দেখেন জামাইবাবু-শ্যালিকা এক বিছানায়, তারপরের ঘটনায় শিউড়ে উঠবেন


একলা ঘরে শ্যালিকাকে পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে জামাইবাবু। হঠাৎই শাশুড়ি এসে পড়ায় বিপত্তি। বাধা দিয়ে জামাইয়ের কোপে পড়ল শাশুড়ি। প্রৌঢ়া শাশুড়িকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটালো জামাই। শুধু পেটানোই নয়, তাঁর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে সে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের আদলা গ্রামে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

শিউরে ওঠার মতোই ঘটনা। তরুণী শ্যালিকাকে একলা পেয়ে জামাইবাবু আতিয়ার সর্দার ধর্ষণের চেষ্টা করে। খারাপ ইঙ্গিত বুঝে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তরুণী। কিন্তু জামাইবাবুর শারীরিক শক্তির কাছে পেরে ওঠেনি। তাঁকে টেনে বিছানায় ফেলে দিতেই আর্ত চিৎকার করে ওঠেন তরুণী। তা শুনেই ছুটে আসেন বৃদ্ধা মা।

কু-কাজ করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে রুদ্রমূর্তি ধারণ করে গুণধর জামাই। বেগতিক বুঝে শ্যালিকাকে ছেড়ে শাশুড়ির উপর চড়াও হয় সে। বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানোর পর কেরোসিন তেল ঢেলে গায়ে আগুন লাগানোর চেষ্টাও করে। তখন তরুণীর আর্তি চিৎফকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।

এ যাত্রায় তাঁরাই উদ্ধার করে তরুণী ও তাঁর মাকে। বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত জামাই। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রৌঢ়াকে ভর্তি করা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত আতিয়ার সর্দারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।