কামুক মহিলাদের ‘গ্রাসে’ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া, টিউশন ব্যাচে বেহাল দশা


পড়াশোনার পাশাপাশি হাত-খরচার জন্য সুবিধা হবে, সেই আশাতেই টিউশন পড়ানোর জন্য খোঁজ করছিলেন ওই যুবক। কিন্তু তার পরেই বিপাকে পড়েন তিনি।

টিউশন পড়াতে গিয়ে হতবাক যুবক। গোটা ঘর জুড়ে মোহময়ীদের হাতছানি। বলা হচ্ছে 'বডি মাসাজ' করতে। কামুক মহিলাদের 'ফাঁদে' পড়ে বেহাল দশা হয়ে যায় যুবকের।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, লখনউ-এর একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই পড়ুয়া কয়েক দিন ধরেই টিউশন ক্লাসের খোঁজ করছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি হাত-খরচার জন্য সুবিধা হবে, সেই আশাতেই টিউশন পড়ানোর জন্য খোঁজ করছিলেন ওই যুবক। কিন্তু তার পরেই বিপাকে পড়েন তিনি।

ওই যুবকের দাবি, ইন্টারনেটে খোঁজ করে ওই এলাকাতেই একটি টিউশন এজেন্সির খোঁজ পান তিনি। এই এজেন্সি বিভিন্ন শিক্ষকদের টিউশন পড়ানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাঠাত। খোঁজ করে ওই যুবক এই এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার পরেই তাঁকে ২০ হাজার টাকা 'সিকিউরিটি মানি' হিসাবে জমা রাখতে বলা হয়। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য, ঠিকানা, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের তথ্যও জমা দিতে বলা হয়। গোটা প্রক্রিয়াটাই সম্পূর্ণ করার পরে ওই যুবককে টিউশন পড়ানোর ব্যাচ দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ওই সংস্থার তরফে।

অভিযোগকারী ওই যুবকের দাবি, অনেক দিন পর তাঁকে একটি টিউশন ব্যাচ পড়ানোর জন্য নম্বর ও ঠিকানা দেওয়া হয়। ওই যুবক সেই ঠিকানায় গিয়ে দেখেন, এটি একটি হোটেলের ঠিকানা। সেখানে গিয়ে প্রচুর মহিলাদের দেখতে পান তিনি। তার পরেই এক মহিলা তাঁকে জোর করে অন্য একটি ঘরে নিয়ে যান। সেখানে তিনি দেখেন খাটে ও সোফার উপরে বেশ কয়েক জন মহিলা শুয়ে রয়েছেন। এর পরেই ওই যুবককে মহিলাদের 'বডি মাসাজ' করতে বলা হয়। হতবাক হয়ে ওই যুবক কোনও রকমে পালিয়ে আসেন ওই হোটেল থেকে।

গোটা ঘটনাটি ওই যুবক ফোনে টিউশন সংস্থাকে জানাতে গেলে আরও বিপাকে পড়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই যুবকের দাবি, ফোনে তাঁকে বলা হয়, এসব কথা বাইরে কাউকে জানালে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি হ্যাক করে তাঁর ছবি বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

এর পরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। তদন্তে পুলিশ জানতে পারেন ওই যুবক একা নন, আরও তিন যুবক এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। প্রত্যেকেই টিউশন পড়াতে গিয়ে এমন এজেন্সির কোপে পড়েছেন। ওই যুবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ।