‌ভিনধর্মের যুবকের সঙ্গে প্রেম করায় গাছে বেঁধে বেধড়ক মার মুসলিম তরুণীকে


মেয়ে ভিনধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম করে। আর তাই পঞ্চায়েতের নিদানে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা গাছের সঙ্গে বেঁধে ওই তরুণীকে বেধড়ক মারল খোদ পরিবারের লোকেরাই। নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের নওদা জেলার যোগীয়া মারান গ্রামে।

জানা গিয়েছে, ১৮ বছর বয়সি ওই মুসলিম তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল হিন্দু যুবক রমেশ কুমারের। রমেশ পাশের গ্রামেই থাকতেন। এদিকে, বাড়িতে নিজের সম্পর্কের কথা জানানোর পর কিছুতেই তা মানতে রাজি হয়নি মেয়েটির পরিবার। এরপরই গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে রমেশের কাছে চলে যায় ওই তরুণী। এমনকি বিয়েও করে তাঁরা। কিন্তু মেয়েটির বাড়ির লোক সেকথা জানতে পেরে জোর করে ওই তরুণীকে সেখান থেকে নিয়ে আসে।

এরপরই বসে পঞ্চায়েতের সালিশি সভা। সেখানে নিদান দেওয়া হয়, ভিনধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম করায় মেয়েটিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারা হবে। আর এই কাজ করবে তাঁর পরিবারই। এই সময় মেয়েটির পরিবার বাধা তো দেয়নি বরং তাঁর বাবা মহম্মদ ফারিদ আনসারি খোদ এই নির্মম কাজটি করেন। তাঁর কথায়, মেয়ে একজন অপরাধী। সে অন্য ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম করেছে। এরপর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে বেধড়ক মারধর। শেষপর্যন্ত পুলিস ঘটনাস্থলে এসে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। তাঁর বয়ান নেয়। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বদলে কেবল সতর্ক করেই ছেড়ে দেয়। আর এখানেই পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এদিকে, রমেশ নামে এই ব্যক্তি ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাঁর খোঁজে চলছে তল্লাশি।