ইডি বাজেয়াপ্ত করল নীরব মোদির ৬৩৭ কোটির সম্পত্তি


পিএনবি কাণ্ডে বড় সাফল্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। দেশ ও বিদেশ মিলিয়ে মোদির মোট ৬৩৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। পিএনবি কাণ্ডের পর থেকেই বিভিন্ন দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নীরব। আপাতত তিনি লন্ডনে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে একাধিক দেশ থেকে নীরবের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল।

ইডির তরফে জানানো হয়েছে, বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্কে একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, প্রচুর সোনা ও হীরের গয়না, ইংল্যান্ডের একাধিক বাড়ি এবং একাধিক ভারতীয় ব্যাংকে তাঁর জমা রাখা আমানত। এর আগে সাধারণত ঋণখেলাপিদের বিদেশে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারতো না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা বিরল। সম্প্রতি সংসদে 'ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডার্স বিল' নামে একটি বিল পাশ করানো হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী পলাতক ঋণখেলাপিদের বিদেশের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করার অধিকার পায় ভারতীয় এজেন্সিগুলি। এই আইনে বলীয়ান হয়েই নীরবের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল। এর আগে পিএনবি দুর্নীতির মূল অভিযুক্তের মাত্র ৩৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে সক্ষম হয়েছিল ইডি।

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে নীরব মোদি এবং তাঁর মামা তথা বিজনেস পার্টনার মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে৷ এই প্রতারণার খবর সামনে আসার আগেই দেশ ছেড়ে পালান তাঁরা৷ তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে ইডি৷ জানা যায়, তাঁরা ব্রিটেনে আত্মগোপন করে রয়েছেন৷ তাঁদের বিরুদ্ধে রেড-কর্নার নোটিস জারি করেছে ইন্টারপোল৷ একা নীরব মোদি নন, রেড-কর্নার নোটিস জারি করা হয়েছে নীরবের ভাই নিশাল মোদির নামেও৷ নীরবের বোনের নামেও জারি হয়েছে রেড কর্নার নোটিস৷ নীরবের সংস্থার অন্যতম কর্তা সুভাষ পরবের বিরুদ্ধেও নোটিস জারি হয়েছে৷ নোটিস দেওয়ার পাশাপাশি, ইন্টারপোলের তরফে বেশ কয়েকটি দেশকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে নীরব মোদির সন্ধান চালানোর জন্য৷ ইডি জানিয়েছে, এই মামলার আরেক অভিযুক্ত আদিত্য নানাবতীর বিরুদ্ধেও এদিন রেড কর্নার নোটিস জারি করা হয়েছে। ইডির এই পদক্ষেপে পিএনবি কাণ্ডে কেন্দ্রের অস্বস্তি কিছুটা কমল বলে মনে করা হচ্ছে।