পুজোর খরচ বাঁচিয়ে অসহায় মানুষকে সাহায্য হাওড়ার বাইকারদের


হাওড়া: মা এসেছেন। প্রকৃতি জুড়ে আনন্দ। চারিদিকে আলোর রোশনাই। আবালবৃদ্ধবনিতা মায়ের আগমনের আনন্দে মেতে উঠেছে। কিন্তু, এত রোশনাইয়ের মাঝেও আমাদের লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যান বেশ কিছু মানুষ, যাদের অবস্থান এই খুশির উৎসব থেকে অনেক অনেক দূরে।

এমনই শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে বিশেষভাবে সক্ষম বেশ কিছু মানুষকে নিয়ে গড়ে উঠেছে এক মানবিক সংগঠন 'বোধিপীঠ'। এই মানুষগুলোর মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য দুর্গাপুজোর এই আলোর রোশনাইতে এদেরও সামিল করার জন্য হাওড়া বাইকার বয়েজের সদস্যরা এগিয়ে এলেন বোধিপীঠের পাশে। বাড়িয়ে দিলেন সহযোগিতার হাত। এদের বোধিপীঠে আসার কারণই হল এই মানুষগুলোর সঙ্গে একটু অন্যরকম পুজো কাটানো।

প্রত্যেক বছরই প্রচুর মানুষ নতুন পোশাক সামগ্রী, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদির জন্য এই মহাপুজোয় যথেষ্ট খরচ করে। তাই এই বছর হাওড়া বাইকার বয়েজের সদস্যরা তাদের প্রত্যেকের পুজোর জামাকাপড়, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদির খরচ বাঁচিয়ে ৫১ হাজারেরও বেশি টাকা বোধিপীঠের হাতে তুলে দিলেন এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এই অর্থমূল্য এদের কষ্টের কাছে অত্যন্ত তুচ্ছ হলেও এই টাকা এদের চিকিৎসা এবং অন্যান্য আনুসঙ্গিক ক্ষেত্রে কিছুটা সুরাহা দিতে পারবে। আর সেটাই হবে মা দুর্গার প্রতি এই বাইকারদের এবারের অঞ্জলি।

এদের বক্তব্য, আশা করা যায়, মা দূর্গার আশীর্বাদে সব জ্বালা যন্ত্রনা ভুলে খুশির আলোয় আলোকিত হয়ে উঠবে এই মানুষগুলোর মনও। তৃতীয়ার দিন বেশ কয়েক ঘন্টা এদের সঙ্গে থেকে সময় কাটান হাওড়া বাইকার বয়েজ এর সদস্যরা। উদ্যোক্তাদের তরফে অর্ণব দাস, নীলাভ্র শেঠ, অহেন্দ্র সাহা জানান, বরাবরই সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হয়। সামাজিক কাজে সাধ্যমতো এগিয়ে আসার চেষ্টা করেন এরা।

এক সদস্যের কথায়, "এবার আমরা বোধিপীঠের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা নিজেরা পুজোর বাজেট পুজোর খরচ বাঁচিয়ে সেই অর্থ তুলে দিয়েছি এদের হাতে। ওদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছি। চিকিৎসার প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। সল্টলেক করুণাময়ীতে এসে ওদের সঙ্গে দিনের অনেকটা সময় কাটিয়েছি। আমরা চাই সকলে এভাবে এগিয়ে আসুক। পুজো সবার। পুজোর আনন্দে সবার মুখে হাসি ফুটুক।"