৫৬ বছর পরে জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৮ কোটি টাকা পেলেন অরুণাচলের বাসিন্দারা


বমডিলা: ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের ৫৬ বছর পরে সেনাবাহিনীর ঘাঁটি, বাঙ্কার ও ব্যারাক তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৮ কোটি টাকা পেলেন অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দারা। এক বিশেষ অনুষ্ঠানে পশ্চিম কামেঙ্গ জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে চেক তুলে দেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ও অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু।

রিজিজু জানিয়েছেন, 'গ্রামবাসীদের হাতে ৩৭.৭৩ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, সেটি যৌথ অধিকারে ছিল। তাই যে টাকা দেওয়া হয়েছে, তা গ্রামবাসীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।'

১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর সেনাঘাঁটি, বাঙ্কার, ব্যারাক, রাস্তা, সেতু তৈরির জন্য বিপুল জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তবে গত বছর পর্যন্ত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। অরুণাচলের বাসিন্দা রিজিজ নিজে উদ্যোগ নিয়ে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, 'জাতীয় স্বার্থে জমি অধিগ্রহণ করেছিল সেনাবাহিনী। তবে ষাটের দশক থেকে কোনও সরকারই অরুণাচল প্রদেশের গ্রামবাসীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ভাবেনি। অবশেষে সেটা দেওয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কাছে কৃতজ্ঞ।'

এর আগে গত বছরের এপ্রিলে পশ্চিম কামেঙ্গ জেলার তিনটি গ্রামের ১৫২টি পরিবারকে ৫৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেনাবাহিনীর অধিগ্রহণ করা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫৮ কোটি টাকা দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাওয়াং জেলার ৩১টি পরিবারকে ৪০.৮০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। তাওয়াং, পশ্চিম কামেঙ্গ, আপার সুবানসিরি, দিবাঙ্গ উপত্যকা ও পশ্চিম সিয়াঙ্গ জেলায় জমি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতিপূরণের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে।