মায়ানমারে ফিরলেই খুন হতে হবে সাতজনকে, এমনই আশঙ্কায় ভুগছেন রোহিঙ্গারা৷


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মায়ানমারে ফিরে যেতে হয়েছে ভারতে অনুপ্রবেশ করা সাত রোহিঙ্গাকে৷ হাসি মুখেই ঘরে ফিরেছেন তাঁরা৷ তবে এতেও আশঙ্কা কাটছে না৷ কারণ,  ভবিষ্যতে খুন করা হতে পারে এই সাতজনকে৷ এমনই আশঙ্কাতেই ভুগছেন কালিন্দি কুঞ্জ ক্যাম্পে বসবাসকারী অন্যান্য রোহিঙ্গারা৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাঁদের অনুরোধ, মায়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভারতে থাকতে দেওয়া হোক উদ্বাস্তুদের৷ নয়ত মায়ানমারে ফিরলে বেঘোরে প্রাণ যাবে তাঁদের৷

এই আশঙ্কায় এখন ভুগছেন মহম্মদ ফারুক৷ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রের কাছে তিনি জানান, "২০১২ থেকে আমি ভারতে আছি। কেন্দ্রের কাছে একটাই অনুরোধ আমাদের এদেশে থাকতে দিন। নিজের দেশে ইতিমধ্যেই আমরা অনেক প্রতিকূলতার মোকাবিলা করেছি৷ কেউ তাঁর নিজের দেশ ছাড়তে চায় না, আমরা ছাড়িনি৷ পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য করেছে৷" উল্লেখ্য, মায়ানমার সেনার প্রবল অত্যাচারের মুখে পড়ে ২০১৭-তে দেশ ছাড়েন প্রায় সাড়ে ছ'লক্ষ রোহিঙ্গা। মূলত মায়ানমারের উত্তরাংশের রাখাইন প্রদেশে এদের বাস ছিল। এদের একটা বড় অংশ গিয়ে উদ্বাস্তু হিসাবে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে৷ সরকারি মতে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে প্রায় চল্লিশ হাজার রোহিঙ্গা৷

সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ অনুযায়ী অসমে অনুপ্রবেশ করা সাতজন রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ অবৈধভাবে বসবাসকারী ওই সাত রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ৷ তবে সেই মামলায় রায় খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস কে কৌল এবং কে এম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ৷ সর্বোচ্চ আদালত জানায়, অবৈধভাবে মায়ানমার থেকে এসে অসমে বসবাস করতে শুরু করেছিল ওই সাতজন৷ ফলে তাঁদের সেদেশেই ফিরে যেতে হবে৷ নিজেদের ইচ্ছাতে ইতিমধ্যেই ঘরে ফিরে গিয়েছেন ওই সাতজন এবং তাঁদের গ্রহণও করেছে মায়ানমার সরকার৷