হারিয়ে গেছে ফাইল! ডিএ মামলার ফয়সলা ঝুলে রইল ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত

পূজোর পরই মিটতে পারে ডিএ মামলা। ডিএ মামলায় শেষ শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৪ নভেম্বর। তারপরই ডিএ মামলার রায় ঘোষণা করবে স্যাট। দিল্লি, চেন্নাই-এর সরকারি কর্মচারীরা যেমন কেন্দ্রীয় সরকারের  কর্মীদের মতো সমহারে ডিএ পেয়ে থাকেন, এরাজ্যের সরকারি কর্মীরাও সেই হারে ডিএ পাবেন কিনা, সে বিষয়ে ফয়সলা হবে তখনই।

উল্লেখ্য, ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রায় দেয়, ডিএ কোনও দয়ার দান নয়। মহার্ঘভাতার অধিকার আইনি অধিকার। পাশাপাশি, একজন রাজ্য সরকারি কর্মচারী কী হারে ডিএ পাবেন, আগামী ২ মাসের মধ্যে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেওয়া হয় স্যাটকে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পরই ডিএ মামলায় ফের নড়েচড়ে বসে স্যাট। ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্য সরকারকে। স্থির হয় শুনানি হবে ৪ অক্টোবর।

এদিন ছিল শুনানি। সরকারি আইনজীবীকে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়, ঠিক কত টাকা কত সাল থেকে বাইরের রাজ্যের কর্মচারীরা সমহারে টাকা পাচ্ছেন। কিন্তু উত্তরে সরকারি আইনজীবী জানান, ডিএ সংক্রান্ত ফাইল নাকি হারিয়ে গেছে। তাই তথ্য একত্রিত করে হলফনামা জমা দিতে আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে। ফলে সরকারি আইনজীবীর দাবি মেনে সময় দিতে আর রাজি হননি বিচারপতিদ্বয়। স্থির হয় ১৪ নভেম্বর ডিএ মামলায় শেষ শুনানি হবে।

প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ নিয়ে ২০১৬-র ২১ নভেম্বর স্যাটে মামলা করেছিলেন সরকারি কর্মীরা। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা দয়ার দান। ডিএ দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণটাই নির্ভর করে সরকারের উপর। সেই রায় ঘিরেই বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়।

বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তুলনায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা ৪৭ শতাংশ কম ডিএ পান। ডিএ বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে সরকারি কর্মীদের দুটি সংগঠন। প্রশ্ন ওঠে, অন্য রাজ্যে কর্মরত রাজ্য সরকারি কর্মীরা কেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সমহারে ডিএ পাবেন অথচ এরাজ্যে কর্মরতরা বঞ্চিত হবেন?