শিল্পের জন্য অধিগৃহীত জমিতে শিল্পের দাবিতে আন্দোলন


সিউড়ি: শিল্পের জমিতে শিল্প করতে হবে৷ এই দাবিতে মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়িতে জেলাশাসকের কাছে হাজির হলেন কৃষকরা। দশ দফা দাবি পেশ করলেও এটিকে তারা স্মারকলিপি বলে মানতে নারাজ শিবপুর জমিহারা কৃষক সংগ্রাম মঞ্চের সদস্যরা। তবে প্রশাসনের কাছে তারা সুবিচারের দাবি করলেন।

অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রশান্ত অধিকারী তাদের দাবি পত্র গ্রহণ করে চাষিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রশান্তবাবু জানান, আমি কৃষকদের দাবি জেলাশাসকের মাধ্যমে রাজ্য শিল্প নিগমের দফতরে পাঠিয়ে দেব।

২০০১ সালে ততকালীন বামফ্রন্ট সরকার বোলপুরের শিবপুর মৌজায় ২৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে। অধিগ্রহণের শর্ত হিসাবে কৃষকদের বলা হয়েছিল, ওই জমিতে শিল্প হবে। প্রতি পরিবারে একজন চাকরি পাবে। এলাকার উন্নয়ন হবে। এরপর একযুগ পেরিয়ে গেলেও শিল্পের কোনও উদ্যোগ নেয়নি বামফ্রন্ট সরকার। সে সময় কৃষকদের পাশে নিয়ে শিল্পের দাবিতে আন্দোলনে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শিল্প না হলে কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলনে নামে তৃণমূল। শিল্পের জমিতে বেড়া ভেঙ্গে চাষ করে জমি হারা কৃষকরা। কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকারের সাত বছর পেরিয়ে গেলেও সেখানে শিল্পের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। উলটে সেখানে বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে আবাসন,বাজার তৈরির কথা ঘোষনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে কৃষকরা। সম্মুখ সমরে বিরোধ শুরু হয় শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে। তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল প্রকাশ্যেই পুলিশ কর্তাদের আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন। সেই সব ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার কৃষকরা সিউড়িতে জেলাশাসকের চত্বরে এসে বিক্ষভ দেখান। দশ দফা দাবির মধ্যে বিতর্কিত জমিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান হয়েছে।

ওই জমির ওপর দিয়ে বিদ্যুতের যে খুঁটি পোঁতার কাজ চলছে শিল্পের স্বার্থে তা না হলে তাও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। মঞ্চের আহ্বায়ক তথা বোলপুর প্রাক্তন পুরপ্রধান তপন সাহা বলেন, ''আমরা অধিগ্রহনের সময় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ওই জমিতে শিল্প চাই। প্রতিঘরে চাকরি চাই। নাহলে জমি ফিরিয়ে দিতে হবে।''