‌ঐতিহাসিক পদক্ষেপে বিশ্বে প্রথম লিঙ্গ–উল্লেখহীন পাসপোর্ট দিল নেদারল্যান্ডস্‌


পাসপোর্ট নিয়ে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিল নেদারল্যান্ডস্‌। বিশ্বে এই প্রথম কোনও নির্দিষ্ট লিঙ্গের উল্লেখ ছাড়াই পাসপোর্ট দিল নেদারল্যান্ডস্‌–এর সরকার। লিওনি জিগার্স নামে ৫৭ বছরের এক রূপান্তরকামী বিশ্বে প্রথম এধরনের পাসপোর্ট পেলেন। তাঁর পাসপোর্টে লিঙ্গের খোপে ক্রস চিহ্ন দিয়ে শুধু লেখা আছে '‌এক্স'‌। পাসপোর্টে পুরুষের জন্য নির্দিষ্ট খোপে '‌‌এম'‌ লিখতে হয় ম্যানিজে বা মেল লেখার জন্য। এবং '‌ভি'‌ লিখতে হয় ভ্রাও বা ফিমেলের জন্য। কিন্তু এই বছরের শুরুতেই নেদারল্যান্ডসের আদালত রায়ে বলেছিল, তৃতীয় লিঙ্গদেরও মানুষ হিসেবে পাসপোর্টে স্থান দিতে হবে। আদালতের রায়কে মান্যতা দিয়ে এবং তৃতীয় লিঙ্গকে সম্মান জানিয়ে তারপরই এই পদক্ষেপ করল নেদারল্যান্ডস্‌ সরকার।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ এবং বর্তমানে নার্স লিওনির জন্মের সময় তাঁর যৌনাঙ্গ দেখে চিকিৎসকরা তাঁকে পুরুষ হিসেবেই উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু কৈশোরাবস্থায় ঋতুমতী হয়ে পড়েন লিওনি। তারপর ২০০১ সালে অস্ত্রোপচার করে নারীতে রূপান্তরিত হন লিওনি। এরপরই গত মে মাসে আদালতে নিজেকে কোনও নির্দিষ্ট লিঙ্গের মধ্যে না রাখার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন লিওনি। গত জুনে আদালত রায়ে বলে, নিজেকে নারী বা পুরুষ, কোনও লিঙ্গের মধ্যেই না ফেলার অধিকার লিওনি এবং তাঁদের মতো রূপান্তরকামীদের রয়েছে।
নেদারল্যান্ডস্‌ই প্রথম এধরনের দেশ হল যারা কোনও লিঙ্গের উল্লেখ ছাড়া পাসপোর্ট বের করল। এর আগে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, নিউ জিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্তিনা, কানাডা, ডেনমার্ক, মাল্টাতে পাসপোর্টে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য পাসপোর্টে খোপ থাকলেও এভাবে লিঙ্গের উল্লেখহীন পাসপোর্ট ছিল না।