গৃহবধূর ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার, উত্তেজনা সিউড়িতে


ঘরের মধ্যে গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সিউড়ির সাজানো পল্লিতে৷ পরিচিত কেউ বাড়িতে ঢুকে ওই মহিলাকে খুন করেছে বলেই দাবি পরিবারের৷ মহিলার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ কে বা কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

মৃতার নাম শিউলি পাল৷ বছর তেত্রিশের ওই মহিলা বাড়িতেই একটি বিউটি পার্লার চালাতেন৷ তাঁর স্বামী লক্ষ্মীকান্ত পাল ইসিএলে কর্মরত৷ অন্যান্যদিনের মতো শুক্রবার রাত নটা নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফেরেন তিনি৷ বাড়ির সামনে পৌঁছে অবাক হয়ে যান ওই ব্যক্তি৷ তিনি দেখেন রাত নটা নাগাদ বাড়ির দরজা খোলা৷ স্ত্রী শিউলিকে ডাকতে ডাকতেই ঘরে ঢোকেন তিনি৷ প্রথমে বিউটি পার্লারে উঁকি দিয়ে স্ত্রীকে দেখতে পাননি লক্ষ্মীকান্ত৷ এরপর সোজা নিজেদের শোওয়ার ঘরে ঢুকে পড়েন। দেখেন বিছানার উপর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থাতেই শুয়ে রয়েছেন শিউলি৷ অনেক ডাকাডাকিতেও সাড়া না মেলায় তিনি বুঝতে পারেন শিউলি মারা গিয়েছেন৷ এরপরই তিনি খবর দেন শিউলির বাপেরবাড়িতে৷ তড়িঘড়ি ছুটে আসেন মৃতার ভাই৷ শিউলিকে খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁর৷ তবে খুনের ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, তা স্পষ্ট করে বুঝতে পারছেন না মৃতার ভাই৷ শিউলির পরিজনদের দাবি, সাধারণত বাড়িতে একা থাকার সময় মূল দরজায় চাবি দিয়ে রাখতেন৷ কলিং বেলের শব্দ শুনে জানালা দিয়ে কে এসেছেন, তা দেখতেন শিউলি৷ এরপরই তালা খুলতেন। শুক্রবার রাতে শিউলির স্বামী বাড়ি ঢুকে দেখেন ডাইনিং টেবিলের উপর হরেকরকম মিষ্টি সাজানো একটি থালা রাখা রয়েছে৷ তাই তাঁদের অনুমান, বিজয়া উপলক্ষে হয় তো বাড়িতে পরিচিত কেউ এসেছিলেন৷ তাঁকে দরজা খুলে দিয়েছিলেন শিউলি৷ বিজয়ার অছিলায় বাড়িতে ঢুকে পরিচিত কেউ শিউলিকে খুন করেছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের৷

ঘটনার খবর পেয়েই সিউড়ি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে যায়৷ মহিলার দেহ উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেন তাঁর পরিজনেরা৷ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা৷ পরে পুলিসি মধ্যস্থতায় দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়৷ লুঠপাটের উদ্দেশ্যে খুন নাকি মহিলার রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷