মেয়েদের বিক্রি করবে, ভেবেই রেখেছিল বাবা

সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার আগেই বিক্রি করার কথা সেরে ফেলেছিল সন্তানের বাবা। যমজ সন্তান বিক্রিকাণ্ডে ধৃত অভিযুক্তকে জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিস। ধৃতকে সোমবার বনগঁা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৫ দিনের পুলিস হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে, একেই অভাবের সংসার, তার ওপর বিভিন্ন দিকে দেনা হয়ে গিয়েছিল গাইগাটার ভাদুড়িয়া গ্রামের ফেরিওয়ালা রতন ব্রহ্মের। এরই মধ্যে ফের সন্তানসম্ভবা হয়ে ওঠেন তার স্ত্রী রমা ব্রহ্ম। আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করার পর রতন জানতে পারে যে, তার স্ত্রী যমজ সন্তানের জন্ম দিতে চলেছে। একেতেই টানাটানির সংসার, তার ওপর এই খবরে চিন্তায় পড়ে যায় সে। ভেবেছিল, যদি ছেলে হয়, তা হলে তাদের বড় করে তুলবে। আর যদি মেয়ে হয়, তা হলে বিক্রি করে দেবে। আর তা থেকে যে টাকা পাবে, তা দিয়ে দেনা শোধ করবে। সন্তান জন্মানোর পর যখন দেখা যায়, তার স্ত্রী যমজ মেয়ের জন্ম দিয়েছে, তখন আর কিছু না ভেবে পুরনো ভাবনাকেই বাস্তবায়িত করতে উঠে পড়ে লাগে।

নিজের সিদ্ধান্তের কথা স্ত্রীকে জানাতেই প্রতিবাদ করেন তিনি। যদিও স্ত্রীর বারণকে অগ্রাহ্য করে একপ্রকার জোর করেই দুই মেয়েকে বিক্রি করে দেয়। স্বামীর এই অন্যায়কাজ মেনে নিতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে আলিপুরদুয়ারে বাপের বাড়ি চলে যান তার স্ত্রী। এদিকে, বিক্রি হয়ে যাওয়া দুই সন্তানকে উদ্ধার করে ঠাকুরনগর গ্রামীণ হাসপাতালে বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে পুলিস। মঙ্গলবার তাদের বারাসতের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সামনে হাজির করা হবে। তারাই ঠিক করবেন, এই দুই শিশুকে কোথায় রাখা হবে!‌‌