বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জ়িয়ার ৭ বছরের কারাদণ্ড


ঢাকা(বাংলাদেশ) : দুর্নীতি মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জ়িয়াকে সাত বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল সেদেশের আদালত।

শওহর জ়িয়াউর রহমানের নামাঙ্কিত একটি অনাথ আশ্রমের অর্থ আত্মসাতের দায়ে ফেব্রুয়ারিতে খালেদা জ়িয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। অপর একটি দুর্নীতির মামলা নিম্ন আদালতে চলছিল খালেদার বিরুদ্ধে। তাঁর জেলবন্দী অবস্থাতেই সেই মামলার শুনানি চলছিল। এদিকে একাধিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। এই পরিস্থিতিতে তাঁর অনুপস্থিতিতে যাতে দুর্নীতি মামলার শুনানি না হয় সেই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন খালেদা। যদিও হাইকোর্ট সেই দাবি খারিজ করে। পুনরায় অ্যাপেক্স কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। অ্যাপেক্স কোর্ট হাইকোর্টেরই নির্দেশ বহাল রাখে।

খালেদার অনুপস্থিতিতে ওল্ড ঢাকার সেন্ট্রাল জেলেই দুর্নীতি মামলায় শুনানির নির্দেশ দেয় আদালত। শেষমেশ আজ খালেদাকে সাতবছর কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়।

বর্তমানে জেল থেকেই দলীয় কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন BNP নেত্রী। এদিকে আজ রায় ঘোষণার পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন BNP-র সমর্থকরা। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে পুলিশ-BNP সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। 

BNP নেতৃত্বের তরফ থেকে অবশ্য এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে, খালেদার আইনজীবী সামগ্রিক ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিযোগ করেছেন।

খালেদার বিরুদ্ধে একাধিক হিংসা এবং দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। খালেদার অবশ্য দাবি, তাঁর পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই এইসব অভিযোগ ফাঁদা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪-র বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন বয়কট করেন খালেদা। মসনদ দখল করেন শেখ হাসিনা।