মাসিক ১৫ হাজার বেতন দিয়ে চোরেদের পুষত ২১ বছরের যুবক

বেকারত্ব সমাজে এক দুরারোগ্য ব্যাধির মতো। চাকরি না পাওয়ার যন্ত্রনা কী তা কোনও বেকার যুবকই বুঝতে পারেন। কিন্তু জয়পুরের ২১ বছরের এই যুবক বেকারত্বের মর্ম বুঝতে পেরেছিল আর তাইতো সে তার নিজের অধীনে মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন দিয়ে ছ'‌জন বেকার যুবককে কাজে ঢোকায়। যদিও কাজটা শোনার পর চক্ষু চড়কগাছ হবে। ২১ বছরের ওই যুবক তার ছ'‌জন কর্মীকে দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বাইক, সোনার হার এবং মোবাইল ফোন চুরি করাতো। শুধু তাই নয়, এই চুরির জন্য বেতনের পাশাপাশি কমিশনও পেত তারা।

প্রতিদিনই এই ছ'‌জন চুরির কাজে বেড়িয়ে পড়ত। পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলবারই দলের পাণ্ডা সহ ওই সাতজন চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জওহার সার্কেল, শিবদাসপুরা, খো নগোরিয়ান, সঙ্গানার এবং জয়পুরের অন্যান্য এলাকায় এরা চুরি করে বেড়াত। পরপর পুলিসের কাছে অভিযোগ আসার পরই টনক নড়ে। পুলিস সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখার পরই নিশ্চিত হয় যে সবকটা অপরাধী একই গ্যাংয়ের। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের  প্রতাপ নগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখানেই ঘাঁটি গেড়ে থাকত চোরেদের পাণ্ডা সহ ৬ চোর। ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিস ৩৩টি মোবাইল, ল্যাপটপ, দু'‌টো সোনার হার এবং চারটে বাইক উদ্ধার করে। চোরাই মাল বিক্রি করে এই চক্রের পাণ্ডা আশিষ মিনা অন্য চোরদের বেতন দিত।

পুলিসের পক্ষ থেকে বলা হয়, '‌৬ জন চোর সকলেই অশিক্ষিত এবং বেকার। আশিষ এদের এই চুরি করার কাজের প্রস্তাব দেয় এবং তার বদলে প্রত্যেক মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন। জয়পুরের একটি বাড়িতে তারা সকলে চলে আসে এবং এখান থেকেই গোটা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হত।'‌