পাকিস্তানের হাতে ব্রহ্মস মিসাইলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার


পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্ট সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা৷ ধৃতের নাম নিশান্ত আগরওয়াল৷তবে, এরা নাম ভাড়িয়ে কাজ করত বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।  নাগপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় সেনার ব্রহ্মস মিসাইল ইউনিটে কাজ করছিল সে৷ সূত্রের খবর, ভারতের এই গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাধুনিক মিসাইল সম্পর্কিত বহু তথ্য ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে পাচার করেছে নিশান্ত আগরওয়াল৷

সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিল ধৃত নিশান্ত আগরওয়াল৷ তাকে চোখে চোখে রাখছিল পুলিশ৷ যথোপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ হাতে এবার হাতে আসায়, তাকে গ্রেপ্তার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখার অফিসারেরা৷ যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন৷ আতঙ্ক আরও বাড়িয়েছে, পাক গুপ্তচর সংস্থার ভারতের অস্ত্রাগারের অন্দরে ঢুকে পরার বিষয়টি৷ এই ব্যক্তি যেহেতু ব্রহ্মস মিসাইল ইউনিটে কাজ করত, তাই অনুমান করা হচ্ছে ইতিমধ্যে অনেক গোপন তথ্য আইএসআই-এর হাতে তুলে দিয়েছে ধৃত নিশান্ত৷ কী কী তথ্য পাচার হয়েছে এখন তাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা৷ নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনি টপকে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় সেনার অস্ত্রাগারে প্রবেশর চেষ্টা চালাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই৷ এবার ব্রহ্মসের মতো গুরুত্বপূর্ণ মিসাইল ইউনিটে পাক গুপ্তচরের হানার বিষয়টি প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ইউনিটগুলির নিরাপত্তা নিয়ে৷

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। শব্দেরও কয়েক গুণ গতিসম্পন্ন এই মিসাইলটি 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' চালাতেও মদত করবে ভারতীয় সেনাকে। প্রায় ২৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইলটি। এই মিসাইল ব্যবহারে কেন্দ্রের লক্ষ্যই হল, একইসঙ্গে দু'মুখো যুদ্ধ শুরু হলে ভারত যেন পালটা মাত দিতে পারে শত্রুদের। একবার এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ভারতীয় বায়ুসেনার সদস্যরা যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসে বহুদূরেও শত্রুঘাঁটি ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারবে। ভূমি বা সমুদ্রে সমান দক্ষতায় কাজ করতে পারে ব্রহ্মস।