আস্তে গান শুনতে বলায় মাকে কুপিয়ে খুন ছেলের।

খড়গপুর: সাউন্ড বক্স কমিয়ে গান শুনতে বলেছিলেন। এই 'অপরাধে' মদ্যপ ছেলের ভোজালির কোপে খুন হলেন মা। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়েই ছেলের হাতে আক্রান্ত হন ওই গৃহবধূ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার ডুমুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম ডলি কোটাল(৩০)।অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম মনা কোটাল। তার বয়স মাত্র ১৭ বছর। ভোজালির কোপে গুরুতর জখম বাবা মুরারী কোটালকে হাসপাতালে ভরতি করা 
হয়েছে।

জানা গিয়েছে, রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফেরে মনা। ঘরে ঢুকেই উচ্চগ্রামে সাউন্ড বক্স চালিয়ে গান শুনতে থাকে সে। অত জোরে না শুনে সাউন্ড বক্সের আওয়াজ কম করতে বলেন মুরারীবাবু। এনিয়ে দু'জনের মধ্যে তীব্র বচসা বেধে যায়। অভিযোগ, আচমকা ঘরে থাকা একটি ভোজালি নিয়ে এসে মুরারীবাবুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মনা। তাঁকে এলোপাথাড়ি ভোজালির কোপ দিতে শুরু করে। স্বামীর চিৎকার শুনে রান্নাঘর থেকে ছুটে আসেন ডলিদেবী। তিনি ছেলেকে বাধা দিতে এগিয়ে যান। এ সময় বাবাকে ছেড়ে মায়ের উপরে চড়াও হয় মনা। তাঁর গায়ে ও হাতে মিলিয়ে পাঁচ-ছ'টি কোপ মারে মনা। লুটিয়ে পড়েন ডলিদেবী। ওই দম্পতির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে মনাকে রক্তাক্ত ভোজালি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তাঁরাই মনাকে আটক করে ও ওই দম্পতিকে গুরুত জখম আবস্থায় পিংলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা ডলিদেবীকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুরারীবাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।  তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। এদিকে অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই মনাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রক্তমাখা ভোজালিটিও উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিংলার ডুমুর গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মদ্যপ কিশোরের এমন কাজে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকেই বলেন, বাবা-মা দিনরাত কাজ করে সংসার চালাতেন। অন্যদিকে গুণণধর ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নেশা করে বেড়াত।