পুজোয় সরকারি অনুদানে ধাক্কা খেলেন মমতা, জনস্বার্থ মামলার রায়ে স্থগিতাদেশ জারি


দুর্গাপুজোয় পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি স্থগিতাদেশ জারি করল। মঙ্গলবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।

পুজোয় সরকারি অনুদানে স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট, রাজ্যের কাছে হলফনামা দাবি করেছে। সেই হলফনামায় জানতে চাওয়া হয়েছে, রাজ্য কি অন্যান্য পুজো বা উৎসবেও এমন অনুদান দেয়, নাকি দুর্গাপুজোতেই দিচ্ছে। যে পুজো কমিটি আবেদন করবে, সেই কমিটিই কি অনুদান পাওয়ার যোগ্য?

মামলা দায়েরের দিন আদালতে উল্লেখ পর্বে জনৈক এক আইনজীবী প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, 'কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মানছে না রাজ্য সরকার। ধর্মীয় কাজে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তা অমান্য করছে রাজ্য সরকার।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেই পুজো কমিটিগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত সংবিধান বিরোধী বলে তিনি ব্যাখ্যা করেন। আইনজীবীর দাবি, রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া, বিজ্ঞপ্তি জারি না করে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। এই অনুদান ঘোষণা সংবিধানের ১৪ ও ১৫(১) এবং ১৬৬ ধারার পরিপন্থী। এই ঘোষণা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, 'ইমাম-ভাতার নির্দেশিকা খারিজ করে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল  ধর্মীয় নেতাদের টাকা দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত বিধিবহির্ভূত এবং সংবিধানবিরোধী। এবার পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দিয়ে রাজ্য হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে বলে মামলাকারীর দাবি। রাজ্যের সিদ্ধান্তের ফলে শুধু ধর্মীর বিভাজন হচ্ছে তা নয়, সাধারণ মানুষের টাকা নিয়েও তছনছ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের ২৮ হাজার পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই মামলা।