দূষণ ‘রাবণ’ বধ হল না, তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছে রাজধানী


নয়াদিল্লি : কয়েক পশলা বৃষ্টির পর একটু একটু করে শ্বাস নিচ্ছিল নয়াদিল্লি৷ দশেরা সেই বাতাসটুকুও কেড়ে নিল৷ শনিবার রাতের দশেরা মুখর দিল্লি এখন অক্সিজেন খুঁজছে৷ কারণ সার্বিক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই বলছে দিল্লির বাতাসে ধূলিকণা ও ধোঁয়াশার পরিমাণ এতটাই বেশি, যে বাতাসের গুণগত মান এখন তলানিতে ঠেকেছে৷

পুওর ক্যাটাগরিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান৷ শনিবার রাতে বাতাসের দূষণের পরিমাণ পরিমাপ করা হলে দেখা গিয়েছে তা ২৭৮৷ পরিবেশবিদদের মতে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশে শুকনো ফসল পোড়ানোর জেরেও দূষণ বাড়ছিল। সেকারণে দিল্লি সরকার প্রতিবেশী রাজ্যগুলিকে শুকনো ফসল পোড়ানোর বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখার অনুরোধ জানিয়েছিল।

এবার আবার দশেরার পর নাগাড়ে বাজি পোড়ানো ও রাবণ বধের উৎসবের হাত ধরে বাতাসে দূষণও ফিরে এসেছে স্বমহিমায়৷ এমনই আশংকারকথা শোনাচ্ছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দিল্লি প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার পরিবেশ বান্ধব দশেরা পালনের আবেদন করা হলেও, তা যে একেবারেই বিফলে গিয়েছে, শনিবারের দিল্লির রাতের বায়ুদূষণের পরিমাণই সেকথা বলে দিচ্ছে৷

বায়ুদূষণের নিরিখে দিল্লির অবস্থা বহুচর্চিত। প্রতি বছরই অক্টোবর-নভেম্বরে সেখানে দূষণের জেরে জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। দূষণের এই বাড়বাড়ন্ত নাগরিক জীবনে নানা সমস্যা ডেকে আনতে পারে৷ পরিবেশবিদদের মতে ০-৫০ রেঞ্জের এয়ার কোয়ালিটি ভাল স্তরের৷ ৫১-১০০–সন্তোষজনক, ১০১-২০০ মোটামুটি, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ খুব খারাপ ও ৪০১-৫০০ উগ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷ সেখানে দিল্লির হার ২৭৮৷

এরআগে, এয়ার কোয়ালিটি বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে ছিলেন দিল্লিতে বৃষ্টির পরে বেশ কিছুটা দূষণের পরিমাণ কমেছিল৷ বছরে তখনই স্বচ্ছ বাতাসে শ্বাস নিতে পেরেছিল দিল্লি৷ ২৭ জুলাই বছরে প্রথমবার দিল্লির বাতাসে দূষণের পরিমাণ রেকর্ড অঙ্কে কম ছিল। প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার জন্যই এমন হয়েছিল বলে জানিয়ে ছিলেন পরিবেশবিদরা৷

তবে সে সুখ বেশিদিন কপালে সইল না৷ দশেরার পর ফের ভাসমান ধূলিকণা ও ধোঁয়ায় ভারি হয়ে উঠেছে বাতাস৷ ফলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে দিল্লির৷