হিলি সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে পুজোয় মাতে হিন্দু-মুসলিম


হিলি: এ পুজোয় জাঁকজমকের বালাই নেই। আছে প্রাণ। আছে দুই সম্প্রদায়ের এক হয়ে যাওয়া। ভারত-বাংলাদেশের হিলি সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডের পুজোয় আজও বজায় রয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।

বছরভর হাজারো না পাওয়ার যন্ত্রণা। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যে চলাফেরা। কাঁটাতার বেঁধে রাখে জীবন। কিন্তু, শরত কাল এলেই সব ভুলে মনটা ভরে ওঠে ওদের। শুকনো মুখগুলোয় হাসি ফোটে। কোমড় বেঁধে সক্কলে নেমে পড়েন দুর্গাপুজোর আয়োজনে। এ পুজো শুধু হিন্দুদের নয়, মুসলিমদেরও।

ভারত-বাংলাদেশের হিলি সীমান্তের গোবিন্দপুর গ্রাম। দু'দেশের কাঁটাতারের মাঝে প্রান্তিক এই গ্রামে ১৯৫৫-য় শুরু হয় উমার আরাধনা। গোবিন্দপুরের ৪৫টি পরিবারের সঙ্গে কাঁটাতারের দু'পারের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারাও তাতে সামিল হন। ৬৩ বছর ধরে নিয়মের বদল হয়নি। পুজোর জৌলুস না থাকলেও, রয়েছে আত্মীয়তার টান। যে টানে ধর্মান্ধতাকে মুছে দেন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। হিন্দু না মুসলিম? জিজ্ঞেস করে না কেউ। আর তাই তো অষ্টমী পুজোর পদ্ম আসে ওপার বাংলা থেকেই।

সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তায় বড্ড কড়াকড়ি। তবে পুজোর চারটে দিন নিয়মকে একটু আধটু বুড়ো আঙুল দেখানো হয়। দুপাড়ের মানুষের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে একটু বেশি সময় পর্যন্ত চলাফেরায় অনুমতি মেলে। পুজো এলেই অতুল, সফিকুলরা চান, কাল-সীমানার গন্ডিটা মুছে ফেলতে।