স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ধৃত স্বামী


বিয়ের আগে এক তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও তাঁকে বিয়ে করতে রাজি ছিল না সে। পরে প্রতিবেশীদের চাপের মুখে পড়ে তরুণীকে বিয়ে করে। ছ'মাস আগের ঘটনা। ঘটনাচক্রে ঠিক পুজোর আগেই রবিবার সন্ধ্যায় ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় একটি ঝোপ থেকে। ওই খুনে জড়িত সন্দেহে শেষ পর্যন্ত তাঁর স্বামী আলিরুল মোল্লাকে গ্রেফতার করল কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানান, গত রবিবার সন্ধ্যার পরে নলবন এলাকায় ঝোপের ভিতর থেকে বছর উনিশের ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু তখন তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, মৃতার বাড়ি ভাঙড়ে। তাঁর স্বামী আলিরুল রবিবার বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। তার কিছু ক্ষণ পরেই পাওয়া যায় ওই মহিলার দেহ। আলিরুলের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় খুনের ঘটনায় তিনি জড়িত। তার পরেই ধরা হয় আলিরুলকে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশের দাবি, মাস ছয়েক আগে ওই তরুণীর সঙ্গে আলিরুলের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে তরুণীর সঙ্গে আলিরুলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এমনকি, আলিরুল ওই তরুণীর সঙ্গে একাধিক বার সহবাস করেছিল বলেও পুলিশ তদন্তে জেনেছে। কিন্তু আলিরুল তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি ছিল না বলেই তরুণীর পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজনের চাপে আলিরুল ওই তরুণীকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। কিন্তু স্ত্রীকে সে মেনে নিতে পারেনি।

গত রবিবার তরুণীর দেহ উদ্ধারের পরে সেটি ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ। তাঁর দেহের বাইরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল বলে ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে।