কেন এভাবে ইন্দ্রপতন ভারতীয় শেয়ার বাজারে, কেন এই হাহাকার জানেন কি


ভারতের শেয়ার বাজারে প্রায় প্রতিদিনই ধস নামছে। এদিকে একদিনের মধ্যে মার্কিন মুলুকে ওয়াল স্ট্রিটে অনেকটা ক্ষতি হয়েছে। অ্যামাজন, অ্যাপেল, ফেসবুকের শেয়ার অনেকটা নেমে গিয়েছে। মার্কিন শেয়ার বাজারে এটি পঞ্চম সরাসরি পতন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে সবচেয়ে বড় পতন অবশ্যই। মার্কিন বাজার এতটাই নিচে নেমে গিয়েছে যে ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডেরাল রিজার্ভের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছেন সুদের হার বাড়ানোর জন্য। ফেডেরাল রিজার্ভের কর্তারা পাগল হয়ে গিয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেছেন।


আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ফেডেরাল রিজার্ভ
ঘটনা হল, ফেডেরাল রিজার্ভ পলিসির রেট এই বছরে তিনবার বাড়িয়েছে। এর ফলে বন্ডের তুলনায় স্টকের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমতে দেখা গিয়েছে। আগামী একবছর একাধিক ক্ষেত্রে রেট বৃদ্ধি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
   

প্রভাব পড়েছে ভারতে
মার্কিন ডলারের দাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের উপরে তার প্রভাব পড়েছে। ভারতীয় স্টক ও বন্ড মার্কেট থেকে এবছরে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলে নেওয়া হয়েছে। যাতে বড় ধাক্কা লেগেছে।

   

ধাক্কা অনেক বড়
ভারতীয় বাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নেওয়া, তেলের দাম বাড়া, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট বাড়া, টাকার দামে অবমূল্যায়নের মতো ঘটনা একসঙ্গে ঘটায় ভারতের শেয়ার বাজারে বড় ধাক্কা লেগেছে।
   

অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম
এদিন টাকার দাম আরও নেমে ৭৪.৫০ টাকা প্রতি ডলারে চলে এসেছে। সরকার এর আগে আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছে। আরবিআই ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে বিদেশ থেকে বেশি টাকা তোলার অনুমতি দিয়েছে। স্থানীয় বন্ডে বিদেশি বিনিয়োগের নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও টাকার পতন আটকানো যাচ্ছে না।
   

স্বস্তি মিলবে কি
ব্লুমবার্গের সমীক্ষা বলছে, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি বাড়ার ফলেই উন্নয়নশীল দেশে তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্কিন ইন্টারেন্ট রেট ও বাণিজ্য যুদ্ধ। এবছর ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম ১৪ শতাংশ কমেছে। বছরের শেষে তা ৭৫ টাকা প্রতি ডলারে পৌঁছে যাবে বলে সমীক্ষার ফলাফল বলছে।