গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের করাল গ্রাসে গোটা বিশ্ব, ভয়ঙ্কর রিপোর্ট পেশ রাষ্ট্রপুঞ্জের


বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের করাল গ্রাসে যেন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে পৃথিবী। ২০৩০ থেকে ২০৫২ সালের মধ্যে অন্তত ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে চলেছে বলে ইতিমধ্যে সতর্ক করে দিলেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, এভাবে চলতে থাকলে উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে আমরা কোনও সদর্থক উদ্যোগ যদি না নিতে পারি, তাহলে ধ্বংসের আর বেশি বাকী নেই।

রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট
রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ সংক্রান্ত শাখা 'ইন্টারগভর্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ' গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠক করে। কমিটি একটি রিপোর্ট জমা করেছে। যা পরিবেশের বদল ও বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে ২০১৫ সালে বিভিন্ন দেশের সরকারের অনুরোধে এই কমিটি তৈরির দায়িত্ব কাঁধে নেয়।

রাষ্ট্রপুঞ্জের নির্দেশিকা
২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু সংক্রান্ত চুক্তি কীভাবে বলবৎ করতে হবে, এই রিপোর্ট তাতে সাহায্য ও দিকনির্দেশ করবে বলে জানা গিয়েছে। এটিকে বিজ্ঞানসম্মত গাইড বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

নামিয়ে আনতে হবে তাপমাত্রা
প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য হল বিশ্বজনীন তাপমাত্রার গড়কে শিল্পাঞ্চল মাত্রায় অন্তত ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নামিয়ে আনা। যাতে সামগ্রিকভাবে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমিয়ে আনা যায়।

বেড়েছে তাপমাত্রা
১৮শ শতকের মাঝামাঝি থেকেই সামগ্রিকভাবে তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে। কারণ শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক বেড় গিয়েছে। যা পরিবেশ দূষণের সবচেয়ে বড় কারণ।

নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে তাপমাত্রা
আগামী ২ থেকে ৩ দশকের মধ্যে তাপমাত্রাকে বাড়তে না দিয়ে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হলে জমি, শক্তির ব্যবহারে বদল আনতে হবে। শিল্প, বিল্ডিং তৈরি, পরিবহণ, শহরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দিকটি নজরে রাখতে হবে। বিশেষ করে ২০৩০ সালের পর আরও সতর্ক হতে হবে। নাহলে সমস্যা বাড়বে।

জোর পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় পথ দেখাতে পারে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি। ২০৫০ সালের মধ্যে ৭০-৮৫ শতাংশ বিদ্যুৎশক্তি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি থেকে আসা বাঞ্ছনীয়। যা এই মুহূর্তে ২৫ শতাংশে দাঁড়িয়ে রয়েছে।