বিরাট নট আউট ১৫৭, ভারত ৩২১, দ্রুততম ১০ হাজারি হলেন ভারত-অধিনায়ক


অ্যাশলে নার্সের বলে লং অনে একটা আলতো পুশ। অনায়াস একটি রান এবং বিশ্বরেকর্ড। সচিন তেন্ডুলকরকে টপকে ওয়ান ডে ইন্টারন্যাশনালে দ্রুততম ১০ হাজারের ক্লাবে ঢুকে পড়লেন বিরাট কোহালি। বিশাখাপত্তনমের স্কোরবোর্ডে তাঁর নামের পাশে ৮১ রানের ছোঁয়া লাগতেই সে লক্ষ্যপূরণ হল তাঁর। শৃঙ্গ ছুঁয়ে ব্যাটটা মাথার উপরে তুলে দর্শকদের অভিবাদন গ্রহণ করলেন বিরাট। ম্যাচ শেষে বিরাট-রতে ভর করে ভারতের রানও ছুঁল ৬ উইকেটে ৩২১। বিরাট রইলেন অপরাজিত ১৫৭ রানে। বিরাট সাম্রাজ্যের এই প্রতিপত্তি বুধবারের সন্ধায় বিসাখাপত্তমেনর মাঠে আনল সোনালি
গোটা ক্রিকেটদুনিয়া আজ বিরাটের রেকর্ডের অপেক্ষাতেই ছিল যেন। তাতে সায় দিলেন বিশাখাপত্তনমের মাঠে উপস্থিত দশর্কেরাও। উচ্ছ্বসিত করতালিতে বিরাটের রেকর্ডকে স্বাগত জানালেন তাঁরা। আবেগে ভাসলেন বিরাটও।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বুধবার এই ম্যাচের আগে বিরাটের সামনে ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ওয়ান ডে-তে ২৫৯ ইনিংস শেষে দশ হাজারির গণ্ডি পার করেছিলেন সচিন। সেটা ছিল ২০০৫ সাল। তার এক দশকেরও পরে বিরাটের ব্যাট থেকে বেরোল সেই ম্যাজিক সংখ্যা। তবে সচিনের থেকেও অনেক কম ইনিংসে খেলেই দশ হাজারি ক্লাবের সদস্য হলেন বিরাট। এই ম্যাচ নিয়ে ২০৫টি ইনিংস খেলেই ওই ক্লাবে ঢুকে পড়লেন তিনি।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল এক বার বলেছিলেন, "মাঝে মাঝে মনে হয়, বিরাট কোহালি মানুষ নন। এমন ভাবে ব্যাট করেন!" হ্যাঁ, এমন ভাবেই ব্যাট করেন বিরাট কোহালি! বাইশ গজে ব্যাট হাতে নামলেই মনে হয় যেন সেঞ্চুরি করেই ছাড়বেন। বিশাখাপত্তনমে অবশ্য সেঞ্চুরির করার আগেই এই অসামান্য কীর্তি গড়ে ফেললেন বিশ্বক্রিকেটের পোস্টার বয়। এর খানিক পরে ৪৩.৫ ওভারে স্যামুয়েলসের বলকে মাটি কামড়ে বাউন্ডারি পার করে সেরে ফেললেন নিজের ৩৭ তম সেঞ্চুরিও।

গুয়াহাটিতে চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই নিজের ৩৬তম ওয়ান ডে সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন বিরাট। আর বিশাখাপত্তনমের পিচেও খেল দেখাচ্ছেন তিনি। পাটা উইকেট নয়। পিচ থেকে বোলাররা যথেষ্ট সাহায্য পাচ্ছেন, এমন উইকেটেই নিজের কেরামতি দেখাচ্ছেন তিনি।

কেরামতি এর আগেও বহু বার করেছেন এই মুহূর্তে টেস্ট ও ওয়ান ডে-তে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। ২১৩ ম্যাচের মধ্যে কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা তাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়েছিল বেশ দেরি করেই। এক বছরেরও বেশি সময় আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ক্রিকেট খেলার পর। ২০০৯-এ ইডেন গার্ডেন্সে ছিল সে ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ১০৭ রান করেছিলেন বিরাট। এর পর থেকে অবশ্য তাঁকে থামানো যায়নি। একের পর এক সেঞ্চুরি বেরিয়েছে তাঁর ব্যাট থেকে। ভারতীয় অধিনায়কত্বের বাড়তি দায়িত্ব  সত্ত্বেও সেই রানমেশিনের গতি থামেনি। বরং তা ক্রমশই গিয়ার বদলাচ্ছে। এগিয়ে চলছে আরও দ্রুত গতিতে!