বাস মিলবে তো, চিন্তায় আমজনতা


বাস মালিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটসের ডাকা 'গো স্লো' আন্দোলনের জেরে আজ, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ব্যাপক যাত্রী দুর্ভোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কাউন্সিল আগেই জানিয়েছে, এই তিন দিন তারা পিক অফিস আওয়ারে, অর্থাৎ সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা ও বিকাল ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাস চালাবে। বাকি সময় না। বুধবার পর্যন্ত চলবে এই আন্দোলন কর্মসূচি। 

তবে বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি ও হাওড়ার বাস মিনিবাস অপারেটর্স সমন্বয় কমিটি এই আন্দোলনে সামিল হচ্ছে না। সিন্ডিকেটের রাশ রয়েছে তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার হাতে। স্বাভাবিক ভাবেই তারা সরকারকে চটাতে চায় না। রাজ্য সরকারও জয়েন্ট কাউন্সিলের এই আন্দোলনকে কোনও গুরুত্ব দিতে নারাজ। সারা দিন পথে পর্যাপ্ত সরকারি বাস রাখার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য পরিবহণ নিগম।

পুজোর দীর্ঘ ছুটির পরই আজ থেকেই সরকারি অফিস আদালতে পুরোদমে কাজ শুরু হচ্ছে। খুলছে স্কুল-কলেজও। শুরু হবে দেওয়ালির বাজার। তারই মাঝে এই কর্মসূচির ফলে হাজার হাজার মানুষ পথে বেরিয়ে নাকাল হতে পারেন। এমনিতেই বেশ কিছু দিন ধরে শহরের রাস্তায় বেসরকারি বাস কমে গিয়েছে। রাত ন'টার পর বলতে গেলে বেসরকারি বাসের দেখা পাওয়াই ভার। সরকারি আমলারা অবশ্য দাবি করছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিকই থাকবে।

ওই আন্দোলনের কোনও প্রভাব পড়বে না। মাস কয়েক আগে বাস মালিকরা ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার তাঁদের বৈঠকে ডেকে এক টাকা করে ভাড়া বাডি়য়ে দেয়। সে যাত্রায় তাঁরা ধর্মঘটের ডাক তুলে নেন। তার পর থেকে দফায় দফায় তেলের দাম বেড়েছে। মালিকরা বলছেন, 'ভাড়া না বাড়ালে আমরা আর ব্যবসা চালাতে পারব না।' 

জয়েন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কেউ যদি এই আন্দোলনে না আসে সেটা আমাদের দুর্ভাগ্য। আগেও আমরা ভাড়া বৃদ্ধির আন্দোলন করেছি। ১১ জুন রাজ্য সরকার যখন এক টাকা ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হয়, তখন এর সুফল অন্যরাও পেয়েছিল।'