ভোটের আগে রামমন্দির না হলে হারতে হবে বিজেপিকে: বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু না হলে ভোটে হারবে বিজেপি। শুক্রবার এমনই হুমকি দিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এদিন রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আলোচনায় বসে ভিএইচপির গড়া একটি কমিটি। এই কমিটি রামমন্দির নির্মাণ সংক্রান্ত একটি বিলও পাস করে। তাদের দাবি সেই বিল সরকারকেও পাস করতে হবে, যাতে রামমন্দির নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু হয়। সংগঠনের তরফে বলা হয়, সরকার যদি তাদের দাবি না মানে এবং কবে থেকে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে, তা না জানায়, তাহলে তাদের আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হবে। রামমন্দির সংক্রান্ত ভিএইচপির এই কমিটিতে রয়েছে রাম মন্দির তৈরি আন্দোলনের বিভিন্ন সাধুরাও।

বেশ কিছুদিন ধরেই মন্দির নির্মাণের জন্য চাপ বাড়াচ্ছে আরএসএসও। কদিন আগেই মোহন ভাগবতের বক্তব্য, "রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব রাম মন্দির তৈরি করা। কারণ রাম মন্দির সাধারণ মানুষের আবেগ।" সংঘ প্রধান বলেন, "রাম মন্দির তৈরিতে আর বিলম্ব করা উচিত নয়। যেখানে রামচন্দ্রের জন্ম হয়েছিল সেখানে রাম মন্দির তৈরি হোক এটাই মানুষ চাইছে। ভগবান রাম শুধু একজন ঈশ্বর নন, তিনি অনেকের কাছেই আদর্শ।" এরপরই সংঘ প্রধান বলেন, রাম মন্দির সমস্যার জন্যই দীর্ঘদিন এদেশে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মন্দির নির্মাণ হলে, এই সংঘাতও দূর হবে বলে। এরপরই তিনি দাবি করেন, প্রয়োজনে বিল পেশ করে মন্দির তৈরি করতে হবে। বর্তমান রাজনীতির যা পরিস্থিতি তাতে বিরোধীরাও মন্দির বিলের বিরোধিতা করতে পারবে না।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল নমাজের জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয়, সরকার চাইলে যে কোনও ধর্মস্থানের জমি অধিগ্রহণ করতে পারে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তথা আরএসএসের ধারণা সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে মন্দির তৈরির পথ সুগম হয়েছে। যদিও সর্বোচ্চ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ওই রায়ের সঙ্গে অযোধ্যার বিতর্কিত মামলার রায়ের কোনও সম্পর্ক নেই। আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে নিয়মিত মন্দির মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর আগে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, যদি শীর্ষ আদালতের রায় সরকারের বিপক্ষেও যায় তাও আইন এনে তৈরি হোক মন্দির।