প্রথম দেখাতেই প্রেম, কিন্তু এমন কী ঘটল যে পিস্তল থেকে ছুটল গুলি! করুণ পরিণতি

প্রথম দেখাতেই মনে ধরেছিল জামাইবাবুর বন্ধুকে। দিদির বিয়ের দিন প্রথম দেখার সেই ভালো লাগা নিমেষেই বদলে গিয়েছিল ভালোবাসায়। কিন্তু সেই ভালোবাসা বিয়ের দিকে গড়াতেই যত বিপত্তি। আয় কম, প্রেমিকার বাড়িতে আপত্তি তীব্র। প্রেমিকার মত জানতে ডেকেছিল প্রেমিক। তাঁর মুখেও আপত্তির কথা শুনে সরাসরি গুলি চালিয়ে দিলেন প্রেমিকাকে। সব শেষ।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নদিয়ার শিকারপুরে। বিয়েতে অরাজি হওয়ায় অষ্টাদশী প্রেমিকা গুলি করে খুন করল প্রেমিক। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম অলীক কর্মকার। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি সাগরপাড়ার বাসিন্দা। আট মাস আগে অলীকের সঙ্গে পরিচয় হয় বিদিশার। দিদির বিয়ের অনুষ্ঠানে জামাইবাবুর বন্ধু অলীক কর্মকারের সঙ্গে প্রথম দেখা। তারপর প্রেম, সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া।

সম্প্রতি তাঁদের সম্পর্কে সমস্যা দেখা দেয়। বিয়ের কথা উঠতেই আপত্তি তোলেন বিদিশার জামাইবাবু। তার কারণ অলীকের আয় কম। অলীককে সতর্কও করেছিলেন তিনি। নিষেধ করেছিলেন শ্যালিকার সঙ্গে মেলামেশা করতে। বিদিশাও অলীককে জানিয়েছিল, বাড়িতে তাদের সম্পর্ক মেনে নেবে না।

বৃহস্পতিবার ফয়সালা করার জন্য বিদিশাকে ডেকে পাঠিয়েছিল অলীক। বিদিশাও সাড়া দিয়েছিল অলীকের ডাকে। সেইমতো রাস্তায় ধারে বসে তারা গল্প করছি। অলীক বিদিশাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। অলীক বিদিশাকে জিজ্ঞাসা করে শেষবারের মতো বলছি, তোমারও কি বিয়েতে মত নেই। বিদিশা উত্তরে না বলতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলে সে। পকেট থেকে পিস্তল বের করে প্রেমিকাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয়।

পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি। গুলি লাগে বিদিশার ডান কানের নিচে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন বিদিশা। গুলির আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তাঁরাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় বিদিশার। এদিকে জনতার হাতে ধরা পড়ে গণধোলাই খায় অলীক। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। অলীক হাসপাতালে ভর্তি।