ঢাকার পাক হাই কমিশন থেকেই পশ্চিমবঙ্গে হামলা চালানোর ছক


বাংলাদেশের মাটি ফের ভারতবিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপের আখড়া হয়ে উঠছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, ঢাকায় পাক হাই কমিশন থেকেই পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর 'নীল নকশা' তৈরি হচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে হামলা চালানোর ছকও ওখানে বসে তৈরি হচ্ছে। 

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে খবর রয়েছে, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে সম্প্রতি হাই কমিশনে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির গোপন বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কর্তারাও ছিলেন। সূত্রের খবর, সেখানে বসে ভারত ও বাংলাদেশে কী ভাবে হামলা চালানো যায়, তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। সেই মতো ছকও সাজানো হয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ঢাকার পাক হাই কমিশনে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনগুলির মগজধোলাই করা হয়। হামলা চালানোর জন্য ১০০ জন নতুন সুইসাইড বোম্বার এর মধ্যেই নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের কমব্যাট প্রশিক্ষণ দেবে পাকিস্তান। ওই প্রশিক্ষণ শেষ হলেই হামলা চালাতে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হবে।

এটা শুধু ভারতীয় গোয়েন্দাদের আশঙ্কা নয়। বাংলাদেশের কাছেও এমনই খবর রয়েছে। যে কারণে সম্প্রতি পাক কূটনীতিক নিয়ে বিষোদগার করে ঢাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ইসলামাবাদের কাছে অভিযোগ করে, পাক দূতাবাসগুলো  আইএসআইয়ের আখড়া হয়ে উঠছে। এমনকী বাংলাদেশের মাটিতে বসে সরকারবিরোধী কার্যকলাপও চালাচ্ছে আইএসআই। একইসঙ্গে ভারতবিরোধী কাজকর্মও সেখানে চলছে। 

বাংলাদেশের মাটিতে আইএসআইয়ের এই তত্‍‌পরতা দিল্লির সঙ্গে ঢাকারও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এক গোয়েন্দা কর্তা জানান, পাকিস্তান কীভাবে তাদের কূটনীতিকদের কাজে লাগাচ্ছে, সে বিষয়ে আমরা সচেতন। তিনি জানান, ঢাকার পাকর হাই কমিশন থেকেই জাল ভারতীয় নোট ছাড়ানো হচ্ছে। 

গত মাসে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকে পাঠানো আর এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন ভণ্ডুল করতে কীভাবে হামলা চালানো যায়, তা নিয়েও গোপন বৈঠক হয়েছে। সেখানে হামলার ছক কষার পাশাপাশি আত্মঘাতী জ্যাকেট, আগ্নেয়াস্ত্র-বিস্ফোরক কেনার বিষয়েও বিশদ কথা হয়। 

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট বলেছে, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে সেখানে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে ৩০০ জনকে নিয়োগ করা হবে। চট্টগ্রামে তাদের দু-মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। হাসিনার দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫০টি নতুন জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলাও পাকিস্তানের পরিকল্পনায় রয়েছে।

হাসিনা সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০১৯-এর জানুয়ারিতে। তার আগে চলতি বছরের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নির্বাচন রয়েছে বাংলাদেশে।