১০ টন রুপো, খরচ ৪০ কোটি


শিখর কর্মকার-৪০ কোটি টাকা মূল্যের রুপোর রথ ঘিরে এবার নিরাপত্তা বলয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ থিমে ১০ টন রুপো দিয়ে ৪০ ফুট উঁচু এই রুপোর রথটি তৈরি করা হয়েছে। লম্বা ও চওড়াতেও ৪০ ফুট করে রথটি। অর্জুন চালাচ্ছে রথটি। কৃষ্ণ সারথি। সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড মধ্য কলকাতার এই নামী পুজোর ‌জন্য রুপের রথটি নির্মাণ করে দিয়েছে। ১১টি ঘোড়া টেনে নিয়ে যাচ্ছে রথটিকে। মূল্যবান এই রথটি ঘিরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে বলে পুজো কমিটির সম্পাদক সজল ঘোষ জানিয়েছেন। রুপোর রথ ঘিরে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত স্মার্ট সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। রথটি ঘিরে থাকছে প্রথমে হলুদ ও পরে লাল রঙের বেষ্টনী। কোনও কারণে হলুদ বেষ্টনীতে কেউ প্রবেশ করলে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সতর্কতা দেওয়া হবে। লাল বেষ্টনী ছুঁলেই বাজতে শুরু করবে সাইরেন। বার্তা পৌঁছে যাবে ক্লাবকর্তা ও পুলিসের কাছে। এছাড়াও থাকছে ক্লাবের নিজস্ব মেটাল ডিটেক্টর, ওয়াকিটকি। ক্লাবের ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও মাঠে হাজির থাকবেন পেশাদার সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীরা। সরকারের তরফে থাকছে পুলিসি নজরদারিও। এবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের কুরুক্ষেত্র থিমের মণ্ডপটি গড়ে তুলেছেন শিল্পী দীপক ঘোষ। একটি পাহাড় ফুঁড়ে বের হয়ে আসছে রুপোর রথটি। চারিদিকে যুদ্ধে অংশ নেওয়া সৈন্য সামন্ত। হাতি, ঘোড়ার পিঠে ছাড়াও যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে এগিয়ে চলেছে পদাতিক সেনা। মণ্ডপের ভেতরটি সেজে উঠেছে রাজস্থানি ঘরানায়। পাথর খোদাই করা জালি কাজ ও ওই রাজ্যের স্থাপত্যশৈলী ফোটানো হয়েছে থার্মোকল খোদাই করে। এবারও এই পুজোর দুর্গামূর্তি গড়েছেন মিন্টু পাল। আগামী শনিবার এই পুজোর উদ্বোধন করবেন রাজ্যপাল। থাকবেন দুই সাংসদ দেব ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুজো কমিটির সভাপতি প্রদীপ ঘোষ।‌