শবরীমালা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সমর্থন, কেরলের আশ্রমে আগুন ধরাল দুষ্কৃতীরা


তিরুঅনন্তপুরমের আশ্রমে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ছবি সৌজন্য এএনআই।
শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানানোয় কেরলের এক ধর্মীয় গুরুর আশ্রমে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা।
শবরীমালা নিয়ে এখনও তেতে রয়েছে গোটা কেরল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছেই। শরবীমালায় মহিলাদের প্রবেশের বিরুদ্ধে পাল্লা ভারী প্রথম থেকেই। কিন্তু তার মধ্যেও রাজ্যেরই একটা অংশ সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যেই এক জন স্বামী সন্দীপানন্দ গিরি। তিরুঅনন্তপুরমে একটি আশ্রম চালান তিনি। সেই আশ্রমেই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ দুটো গাড়ি ও একটি স্কুটারে করে দুষ্কৃতীরা এসেছিল। বেশ কিছু ক্ষণ তাণ্ডব চালিয়ে আশ্রমে আগুন জ্বালিয়ে দেয় তারা। দু'টি গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আশ্রমে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তড়িঘড়ি সেখানে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করে স্থানীয় প্রশাসন।

শনিবার সকালে আশ্রম পরিদর্শনে যান কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এই হামলার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, "মতাদর্শগত ভাবে এঁটে উঠতে না পেরে এ ভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। যাঁরা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছেন তাঁদের কোনও ভাবেই রেয়াত করা হবে না। যাঁরা সন্দীপানন্দজির কাজকর্ম সহ্য করতে পারছেন না, তাঁরাই এই হামলা চালিয়েছেন।"

সন্দীপানন্দকে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন কেরলের অর্থমন্ত্রী টমাস আইজ্যাক। তিনি বলেন, "সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্যই গিরিজির প্রাণনাশের চেষ্টা করা হচ্ছে।"

আশ্রমে হামলা চালানোই নয়, শবরীমালা নিয়ে রুখে দাঁড়ানোয় সন্দীপানন্দকে বেশ কয়েক বার খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর শবরীমালায় পুজো দিতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে আসতে হয়েছে এক মহিলা সাংবাদিক এবং আরও এক মহিলাকে। শবরীমালা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও রাজ্যের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে এমনিতেই প্রবল চাপে পিনারাই সরকার। তার উপর তিরুঅনন্তপুরমে আশ্রমে এই হামলার ঘটনায় আরও চাপে পড়ল রাজ্য সরকার।