হুগলিতে অস্ত্র কারখানার হদিশ, গ্রেপ্তার ৩


পুজোর মুখে বড়সড় সাফল্য পেল চন্দননগর পুলিস কমিশনারেট। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র-সহ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করল পুলিস।

বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চন্দননগর থানা এলাকার গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জেরা করেই অস্ত্র কারখানার হদিশ পায় পুলিস। সেই কারখানায় হানা দিয়ে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের কমিশনার অজয় কুমার বলেন, '‌ধৃতদের কাছ থেকে ২টি ৭ এমএম ও ৩টি অসম্পূর্ণ ৭ এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ৭টি ম্যাগাজিন ও ১টি অসম্পূর্ণ ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। ২২০টি ৭ এমএম পিস্তলের গুলি উদ্ধার হয়েছে। ৮ এমএম পিস্তলের ৭০টি গুলি উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি, ড্রিল মেশিন, স্প্রিং, সাইকেলের পার্টস–সহ একাধিক জিনিস উদ্ধার হয়েছে। বাকি কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।'‌
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চক্রের মূলচক্রী প্রণবেশ দে ওরফে বাপি। বাড়ি চন্দননগরে। তার সহযোগী নুরউদ্দিন ওরফে নূর। বাড়ি নৈহাটিতে। এরা অস্ত্র কেনাবেচা ও তৈরি করত বলে অভিযোগ। এই গোটা ব্যবস্থায় মার্কেটিং–এর কাজ করত বাপন মণ্ডল ওরফে রাজু। বাড়ি চন্দননগর নিচুপট্টি এলাকায়। এই অস্ত্র কারবারিরা বিহার থেকে লোক এনে চন্দননগরে অস্ত্র তৈরি করাত। শুক্রবার ধৃতদের চন্দননগর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের ছ'দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুজোর আগেই এহেন ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
আগেই শহরে জঙ্গি হানার সতর্কবার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অস্ত্র কারবারীদের কাজে লাগিয়েই রাজ্যে নাশকতা ঘটাতে পারে তারা। তাই এই অভিযানকে বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।