মৃত্যুবার্ষিকীতে ফিরে দেখা জোবসের হাত ধরে আসা টেকনোলজির সাতকাহন

সাত বছর আগে আজকের দিনে চলে গিয়েছেন স্টিফেন পল জোবস। কিন্তু আজও মানুষের মনে তাঁর অম্লান উপস্থিতি। কারণটা অবশ্যই 'অ্যাপেল'। গ্যাজেটপ্রেমী মানুষের কাছে 'অ্যাপেল' একটা স্বপ্ন।

২০১১ সালের ৫ই অক্টোবর অ্যাপেলের সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও স্টিভ জোবস মারা যান। দীর্ঘদিন প্যাঙ্কিয়াটিক ক্যানসারে আক্রান্ত থাকার পর মাত্র ৫৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। কিন্তু ওই অল্প বয়সেই যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিলেন তিনি টেকনোলজির দুনিয়ায়। মোবাইল,মিউজিক,ডেক্সটপ,অ্যাপ… কি নেই?

স্মার্ট ফোনের ধারনাটাই বদলে যায় ২০০৭এর জানুয়ারিতে প্রথম আইফোন প্রকাশ্যে আসার পর। টাচ ফোন স্ক্রিনের সঙ্গে GSM সঙ্গে GPRS ও EDGE, ভাবা যায়? গত ১১ বছরে বহু নতুন স্বাদ উপহার দিয়েছে অ্যাপেল।

অ্যাপেলের Macintosh 128K তাদের প্রথম ডেস্কটপ কম্পিউটিং মেশিন। 'PowerBook' সিরিজের ল্যাপটপও বিশেষ জনপ্রিয়।

iPod (M8541)অ্যাপেলের প্রথম সবসময় বহনযোগ্য মিডিয়া প্লেয়ার। ২০০১সালের অক্টোবরে প্রকাশ্যে আসে প্রথম আইপড। তখন ট্যাগলাইন ছিল '১০০ গান তোমার পকেটে'। ৫ জিবি ডেটা স্টোরেজ সঙ্গে মোনোক্রোম LCD ডিসপ্লে।

এদিকে অ্যাপেলের 'ম্যাকবুক প্রো' আজকের দিনে সবচেয়ে শক্তিশালী ল্যাপটপ। ২০০৬ সালে জোবসের আমলেই প্রকাশ্যে আসে 'ম্যাকবুক প্রো'। এর পাশাপাশি ২০০৮ সালে ৫০০ অ্যাপ নিয়ে প্রথম অ্যাপ স্টোর গঠন করে অ্যাপেল। ২০১০ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আসে আইপ্যাড। গ্যাজেটপ্রেমীদের লোভের লাগাম ছাড়িয়ে দেয় অ্যাপেল।

জোবসের হাতেই আরও এক জ্ঞানবৃক্ষের ফলের স্বাদ পেয়েছিল মানুষ। যে স্বাদের লোভে হয়ত আজীবন ডুবে থাকবে তারা।