স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে শ্রীঘরে স্বামী, জামিন অযোগ্য ধারা পুলিশের


স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত৷ গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ৷ তিন তালাক বিরোধী কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স জারি হওয়ার পরই এই প্রথম কোনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ৷ ধৃত আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ৷

গৃহবধূর অভিযোগ, পারিবারিক অশান্তির কারণে বুধবার তিন তালাক দিয়ে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়৷ দুই সন্তানকে নিয়ে চূড়ান্ত বিপাকে পড়েন ওই মহিলা৷ পরে, মেঘনগর থানায় গিয়ে স্বামী আরিফ হোসেনর বিরুদ্ধে মুসলিম মহিলা বিবাহ সুরক্ষা অধিকার আইনে মামলা দায়ের করেন ওই গৃহবধূ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ৷ মেঘনগর থানার এক পুলিশ কর্তা জানান, গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ৷ বাড়ি থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ধৃতের বিরুদ্ধে ৩২৩ ও ৪৯৮ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে৷

পুলিশি বয়ানে গৃহবধূ জানানা, গত ১০ বছর আগে আরিফের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর৷ দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে টুকটাক অশান্তি লেগেই থাকত৷ সংসারে অশান্তি নিয়েও দুই সন্তানের মুখ চেয়ে স্বামীর সঙ্গেই ছিলেন তিনি৷ অভিযোগ, মাস দুই ধরে অত্যাচারের তীব্র চূড়ান্ত আকার নেয়৷ পরে, বুধবার তিন তালাক দিয়ে গৃহবধূকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়৷ পরে পুলিশের দ্বারস্থ হন গৃহবধূ৷

তিন তালাক রুখতে আগেই কড়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্র৷ 'তিন তালাক' বেআইনি বলে ঐতিহাসিক রায়ও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত৷ অর্ডিন্যান্স এনে আইনও তৈরি হয়েছে৷ কিন্তু, তা সত্ত্বেও কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না বেআইনি তিন তালাক প্রথা৷ বিধিনিষেধ এড়িয়ে দেশের বিভিন্ন এখনও চলছে তিন তালাক প্রথা রমরমা৷ পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, তিন তালাক রুখতে মুসলিম মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলেই কমানো যাবে বেআইনি এই কারবার৷